নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর তুরাগে কালিয়ারটেক এলাকাতে তিন সন্তানকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যার পর মা রেহেনা (৩৮) নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। নিহতরা হলেন, বড় মেয়ে শান্তা (১৩), ছোট মেয়ে শেফা (৮) এবং ৮ মাসের ছেলে সাদ এবং মা রেহেনা (৩৮)।
নিহত রেহেনার স্বামী মোস্তফা কামাল জানান, আমি ইফতার করে বাসা থেকে বের হই। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় এসে দেখি রুমের ভেতরে অন্ধকার। পরে লাইট জ্বালিয়ে দেখি, আমার স্ত্রীর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। তিন সন্তানের লাশ বিছানার উপরে শোয়ানো রয়েছে। বড় মেয়ের দুই পায় রশি দিয়ে বাঁধা ।
রেহেনার বড় ভাই মাহবুব আলম সাগর জানান, কামালের মা, ভাই-বোন তার সম্পত্তি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করে আসছিল রেহেনাকে। আমার বোন তা সইতে না পেরে সন্তানদের হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেছে।
তুরাগ থানার ওসি মাহবুবে খোদা জানান, লাশের গলায় দাগ দেখে মনে হচ্ছে সন্তানদের হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমরা দুটি কারণ পেয়েছি। একটি হল সংসারের অভাব অনটন এবং অপরটি জমি এবং বাড়ি সংক্রান্ত বিরোধ। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেও জানান তিনি।
উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ মাহমুদ জানান, আমরা হত্যার কোনা আলামত পাইনি। প্রাথমিকভাবে দেখে বুঝা যাচ্ছে যে তিন সন্তানকে হত্যার পর মা নিজেও আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ