দেশজনতা অনলাইন : বরগুনায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে যে কাউকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত। অনেকেই এর নেপথ্যে থেকেও কাজ করতে পারে। তদন্তাধীন বিষয় এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।’
স্ত্রী মিন্নির সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে এসপি বলেন, ‘তা এই মুহূর্তে বলতে পারব না। তদন্তের স্বার্থে মিন্নিকে জিজ্ঞাসবাবাদ করা হবে।’
বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার পর সেদিনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে, নয়ন বন্ডরা যখন রিফাত শরীফকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল পেছন দিক দিয়ে মিন্নি স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি স্বামীকে ছাড়িয়ে নিতে এগিয়ে আসেননি। যখন রিফাতকে কোপাতে থাকে তখন মিন্নি নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কুপিয়ে জখম করার পর মিন্নি নিজের জুতা খুঁজছিলেন এবং আক্রমণকারীদের একজন তার হাতব্যাগ তুলে দিচ্ছিল। এ ঘটনায় মিন্নির শরীরে কোনো আঘাত লাগল না। যা রহস্যজনক।
রিফাতের বাবার অভিযোগ, নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির বিয়ে হয়। কিন্তু সে নয়ন বন্ডকে ডির্ভোস না দিয়ে রিফাতকে বিয়ে করে।
রিফাতের বাবা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন, ‘মিন্নি প্রতিদিন একাই কলেজে যেতেন। ঘটনার দিনও সে একাই কলেজে গিয়েছিল। এরপর মিন্নি ফোন করে রিফাতকে কলেজে ডাকে। বিয়ের পরেও মিন্নি নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে।’
এদিকে মিন্নি রোববার সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘বিচারকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে এ ধরনের তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আমার শ্বশুরকে চাপ দিয়ে প্রভাবশালীরা এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে করিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। ওই দিন বেলা ৩টার দিকে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।
পরের দিন এই ঘটনায় রিফাত শরীফের বাবা বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন।