দেশজনতা অনলাইন : ভারি বর্ষণের কারণে দেশের নদ নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে নদ নদীগুলোয় ২৫টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত নয় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। সুরমা নদী ছাড়া দেশের সকল নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববার নদ নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা অববাহিকার নদ নদীগুলোর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে সমতলেও একের পর এক প্লাবিত হচ্ছে গ্রাম। এ অবস্থায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি আরো ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। পানি ছড়িয়ে পরতে পারে দেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত।
বন্যা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে সিলেট, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রাজবাড়ী ও আশপাশ এলাকা।
কোনো নদীর পানির সমতল বিপদসীমা থেকে ১ মিটারের বেশি ওপরে উঠলে সেই অবস্থাকে তীব্র বন্যা বলে ধরে নেওয়া হয়।
এদিকে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পাঁচদিনের পূর্বাভাসে বলেছে, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় আগামী ১৮ জুলাই নাগাদ করতোয়ার পানির সমতল চকরহিমপুরে, ঘাঘটের পানি গাইবান্ধায়, ধলেশ্বরীর পানি এলাসিনঘাটে ১ মিটারের বেশি বাড়বে।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, আগামী ২১ জুলাই নাগাদ যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ, সিরাজগঞ্জ, কাজীপুর, পদ্মার পানি গোয়ালন্দে বিপদসীমার এক মিটারের বেশি বেড়ে তীব্র বন্যার সৃষ্টি করতে পারে। আর এসব এলাকার অন্যান্য নদ নদীর পানি এ সময় বিপদসীমার এতো ওপর দিয়ে প্রবাহিত না হলেও ১ মিটারের মধ্যেই থাকবে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি বিস্তৃত হবে দেশের মধ্যাঞ্চলে।
বন্যার এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। তবে পানি নেমে যেতে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হলে এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ঢাকার আশপাশে নদীগুলোর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমা অতিক্রম করবে না। এক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকার জন্য কোনো শঙ্কা নেই।