এ মামলায় বিএনপি সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিটিসেলের চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান ও তার স্ত্রীসহ ১৬ জন এজাহারভুক্ত আসামি।
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ বরাবর পাঠানো চিঠিতে ওই নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাদের নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের (এবি) সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, পরিচালক ফিরোজ আহমেদ, সৈয়দ আফজাল হোসেন,সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল, মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন,শিশির রঞ্জন বোস, ফাহিমুল হক. মো. মেজবাহুল হক, জাকিয়া শাহরুড খান রুনা, মিশাল কবির এবং বি বি শাহ রয়।
তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সপরিবারে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
এর আগে গত ১০ জুন স্ত্রীসহ এম মোরশেদ খানকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৮ জুন দুদকের উপ-পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম বাদী হয়ে এম মোরশেদ খানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মোরশেদ খান ছাড়াও তার স্ত্রী নাসরিন খান, সিটিসেলের ভাইস চেয়ারম্যান আসগর চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী, এবি ব্যাংকের সাবেক এমডি মসিউর রহমান চৌধুরী ও ব্যাংকটির সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইজার আহমেদ চৌধুরী ও এম ফজলুর রহমানকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা সিটিসেলের নামে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করার জন্য এবি ব্যাংক মহাখালী শাখায় আবেদন করেন। যাচাই-বাছাই না করেই সিটিসেলের নামে কোনো জামানত ছাড়াই ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করে এবি ব্যাংক। পরবর্তীতে এ ব্যাংক গ্যারান্টির ভিত্তিতে আটটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সিটিসেলের ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হয়। যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় সুদসহ এ অর্থ দাঁড়ায় ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৩৬৩ টাকা। ব্যাংক গ্যারান্টির শর্তানুযায়ী এবি ব্যাংক এ অর্থ পরিশোধ করে।
দেশের সবচেয়ে পুরনো সেলফোন অপারেটর সিটিসেল লাইসেন্স পায় ১৯৮৯ সালে। দেনার দায়ে ২০১৬ সাল থেকে সিটিসেল বন্ধ রয়েছে।