মরিয়ম নওয়াজ এখন বিরোধী দল মুসলিম লীগের নেতা। দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর তার সাজা হয়েছিল।
সাজাপ্রাপ্ত বা বিচারাধীন রাজনীতিকদের সাক্ষাৎকার প্রচারের ওপর এই নিষেধাজ্ঞাকে পাকিস্তানে বিরোধী দলকে দমন এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের কন্ঠরোধের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) পাকিস্তান সরকারের নিন্দা করে বলেছে, তিনটি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় পাকিস্তানে ‘স্বৈরাচারী প্রবণতারই’ ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
পাকিস্তানের আবতাক টিভি, টোয়েন্টিফোর নিউজ এবং ক্যাপিটাল টিভি মরিয়ম নওয়াজের সংবাদ সম্মেলন প্রচার করার পর তিনটি চ্যানেলরই সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ প্রথমে এটিকে একটি কারিগরী ইস্যু বলে বর্ণনা করেছিল। কিন্তু রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বলছে, এটি নির্লজ্জ সেন্সরশীপ ছাড়া আর কিছু নয়।
পাকিস্তানের ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী কাজ করছে বলেও অভিযোগ করছে আরএসএফ।
মাত্র গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের জিও নিউজ টিভিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির একটি সাক্ষাৎকার দেখানোর সময় মাঝপথে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
পাকিস্তানে বহু বছর ধরেই এমন অভিযোগ আছে যে সেখানে সামরিক বাহিনী গণমাধ্যমে স্পর্শকাতর এবং সমালোচনামূলক খবর বন্ধে চাপ দিয়ে থাকে। সামরিক বাহিনী অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।