দেশজনতা অনলাইন : পানি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর কী পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াসা তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। রবিবার সকালে এ বিষয়ে শুনানিতে ওয়াসার বক্তব্যও জানতে চায় উচ্চ আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
সকালে ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি থেকে সংগৃহীত আটটি নমুনার দূষণ রিপোর্ট হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। দুপুরে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এসময় রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে চারটি এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত আটটি নমুনার পানিতে দূষণ পাওয়া যায়। এসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া ও উচ্চমাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। এছাড়াও কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
গত বছরের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ। পরে পত্রিকায়ও এসব তথ্য প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
এরপর ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং আইসিডিডিআরবি’র প্রতিনিধিরা। এরপর ওই কমিটিকে গত ২১ মে পানি পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।