এ প্রসঙ্গে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এবারের ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হাজির সংখ্যা ৯০ হাজার ৮৭৪ জন। এরমধ্যে ৭০ হাজার ৫০২ জনের সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন সুবিধা শাহজালাল থেকেই নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরা আশকোনা হজ ক্যাম্পে ও সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন। এবারও একই নিয়মে তারা আশকোনা হজ ক্যাম্প ও শাহজালালে ইমিগ্রেশন শেষ করবেন। এরপর উভয় বিমানের হজযাত্রীদের শাহজালাল বিমানবন্দরের একটি এক্সক্লুসিভ জোনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাদের সৌদি আরবের জেদ্দায় যে ইমিগ্রেশনের কাজ হতো, সেই সৌদি অংশের ইমিগ্রেশনের কাজ সেখানে করা হবে। এরপর হজযাত্রীরা স্ব-স্ব বিমানে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। এই এক্সক্লুসিভ জোনের সব কার্যক্রম থাকবে সৌদি আরব নিয়োজিত টেকনিক্যাল দলের হাতে। ফলে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জেদ্দা বিমানবন্দরে আর ছয় থেকে সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করে বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে না।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ পালনে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন সাত হাজার ১৯৮ জন। বাকি এক লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাবেন। হজযাত্রীদের ৫০ ভাগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি ৫০ ভাগ সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন জোন পরিদর্শন করেন।
সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালালে করার যে প্রক্রিয়া চলছে, তার তদারকি করছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হজ) এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
সৌদি অংশের ইমিগ্রেশনের জটিলতা, বাধা-বিপত্তি নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দুই ধরনের ফ্লাইটে যাত্রীরা হজ করতে যাবেন। একটি ফ্লাইট হচ্ছে চার্টাড বা ডেডিকেটেড ফ্লাইট, আরেকটি হচ্ছে মিক্সড ফ্লাইট। মিক্সড ফ্লাইটে হজযাত্রীরা ছাড়াও অন্য যাত্রী থাকেন। এসব ফ্লাইট আমাদের তালিকায় কখনও ছিল না। একই সময়ে দু’টো ডেডিকেটেড ফ্লাইট পড়ে গেলে বা বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের দু’টো ফ্লাইট একই সময়ে পড়ে গেলে তখন তো এই দু’টি ফ্লাইটের যাত্রীর ইমিগ্রেশন শেষ করা সম্ভব হবে না। এ ধরনের কিছু সিস্টেমের কারণে এবার কিছু হজযাত্রী সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন সুবিধা শাহজালালে পাবেন না। সৌদি এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরই আগের মতোই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করতে হবে তাদের।’
আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘এটা কোনও সমস্যা বা জটিলতা নয়। এটা সিস্টেমের কারণে হচ্ছে। যেসব হজযাত্রী সৌদি এয়ারলাইন্সের মিক্সড ফ্লাইটে যাবেন, তারা এ সুবিধা পাবেন না। তাদের আমি জোর করেও এখানে আনতে পারবো না। আবার চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে যেসব হজযাত্রী যাবেন, তাদের ইমিগ্রেশনও হবে সৌদি এয়ারপোর্টে। এ বছর এই প্রক্রিয়া শুরু করলাম। আশা করি ভবিষ্যতে সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশনই এখানে হবে।’ এবার আশি ভাগের বেশি হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন শাহজালালে করার টার্গেট রয়েছে বলেও তিনি জানান।