সোমবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে এলডিপি নেতাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম। বলেন, আটকের পর এই রাজনীতিককে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘আমরা তাকে ছাড়ছি না। আগে যারা এভাবে গ্রেপ্তার হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার (রেদোয়ান আহমেদ) বিরুদ্ধেও আমরা একই ব্যবস্থা নেব।’
সকালে বাংলাদেশ বিমানে করে চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে এসেছিলেন রেদোয়ান। এ সময় তার ব্যাগ স্ক্যান করে সাত রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। পরে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভুলক্রমে গুলিগুলো নিয়ে এসেছেন তিনি। এখানে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।
বিমানবন্দর দিয়ে কোনো ধরনের অস্ত্র বা গুলি নেয়ার সুযোগ নেই সাধারণ যাত্রীদের। লাইসেন্স করা অস্ত্র-গুলি নিতে হলে আগে ঘোষণা দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় নিতে হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে উড়ে যাওয়া একটি বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে গুলিতে নিহত হন সন্দেহভাজন মাহাদী ওরফে মাজেদুল ওপলে পলাশ। পরে জানা যায়, তিনি খেলনা পিস্তল নিয়ে ভয় দেখাচ্ছিলেন।
যদিও এই ঘটনার পর বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় একাধিক যাত্রীর কাছে অস্ত্র পাওয়া গেছে।