সাউদাম্পটন থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক: উঁচু-নিচু টিলা আর সবুজের আচ্ছাদনে দ্য এইজেসভোল ক্রিকেট গ্র্যাউন্ড। স্পন্সরের কারণে এর বর্তমান নাম এইজেসভোল। ইংল্যান্ডের অন্যান্য মাঠের মতো এখানকার উইকেট গতিময় ও বাউন্সি নয়। স্লো ও টার্ণিং উইকেট। সাথে রয়েছে অসমান বাউন্স। অনেকটাই বাংলাদেশের মতো। শুধু উইকেট না এখনকার আউটফিল্ড অন্যান্য মাঠের মতো নয়। তুলনামূলক বড়।
এবার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ যে ম্যাচগুলো খেলেছে তার মধ্যে সবথেকে বড় মাঠে আজ খেলবে। এর আগে বাংলাদেশ ওভাল, কার্ডিফ, ব্রিস্টল, টনটন ও নটিংহ্যামে খেলেছে। প্রায় প্রতিটি মাঠই ছিল ছোট। সেসব মাঠে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের জন্য ছিল এক পরিকল্পনা।
এবার সাউদাম্পটনের বড় মাঠে বাংলাদেশের পরিকল্পনা ভিন্ন। এখানে চার-ছক্কার থেকে রানিং বিটিউন দ্য উইকেটে জোর দিতে হবে। এক রানকে বানাতে হবে দুই রানে। তেমনি দুই রানকে তিন। স্কয়ারে খেলার থেকে সোজাসুজি খেললেই সফলতা পাওয়া যাবে। উইকেটের পেছন থেকে রান আসতে পারে প্রচুর।
এছাড়া যেই উইকেটে খেলা হবে সেটাও দুই বাউন্ডারির প্রায় মাঝ বরাবর। ধীর গতির উইকেটে এমনিতেও শট খেলা কঠিন। সেখানে বড় মাঠে পরিকল্পনা থাকতেই হবে এরকম। তাইতো বাংলাদেশ দলের কোচ বলেন,‘আমরা ১৯৮০-১৯৯০ দশকে ফিরতে যাচ্ছি। যখন কিনা অনেক বড় মাঠে খেলা হতো। এখানে বাউন্ডারি আসবে কম। সিঙ্গেল, ডাবল ও তিন রানে ব্যস্ত থাকতে হবে বেশি।’
ব্যাটসম্যানদের জন্য এ মাঠে রান পাওয়া যেমন চ্যালেঞ্জিং ঠিক তেমনি ফিল্ডারদের জন্য আসছে কঠিন পরীক্ষা। শেষ কয়েক ম্যাচে বাংলাদেশের গ্রাউন্ড ফিল্ডিং আপ টু মার্ক ছিল না। গতকাল অনুশীলনের অনেকটা জুড়ে ছিল গ্রাউন্ড ফিল্ডিং। সার্কেলের ভেতরে ফিল্ডিং হতে হবে কড়া। সীমানায় যারা ফিল্ডিং করবেন তাদের হতে হবে ক্ষিপ্র।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

