অনলাইন
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রেল দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলওয়ে সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সোমবার সকালে তারা কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকায় যান। এখানে রেলপথের একটি ব্রিজ ভেঙে উপবন এক্সপ্রেসের বগি খালে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে চারজন ও বেসরকারিভাবে ৭ নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- সিলেট নাসিম কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তাহমিদা ইয়ামসিন ইভা। তার বাড়ি সিলেটের জালালপুর গ্রামে। তার লাশ নিয়ে গেছে পরিবার। আরেকজন হলেন ওই কলেজের ছাত্রী সানজিদা নাসিম। অপরজন হলেন কুলাউড়ার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম। তার লাশ নিয়ে গেছে স্বামী।
রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, রেল দুর্ঘটনায় চারজন মারা গেছেন। আহত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিল ৬৭ জন। তাদের মধ্যে ২২ জন সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকীদের মধ্যে অধিকাংশই হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। উদ্ধার কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে। তবে ঢাকা থেকে কুলাউড়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল সচল রাখা হয়েছে।
এদিকে রেল দুর্ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যার একটি চার সদস্যের। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পূর্বাঞ্চল) মো. মিজানুর রহমানকে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার রাত ১২টার দিকে বরমচাল স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে ইসলামাবাদ এলাকায় পৌঁছে। এসময় পেছন দিকের বগিতে বিকট শব্দ হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সামনে বড়ছড়া ব্রিজ ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায় একটি বগি। আরো তিনটি বগি ব্রিজের পাশে উল্টে দুমরে মুচড়ে পড়ে। অন্য আরো দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।