দেশজনতা অনলাইন : মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর নো অর্ডার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকছে।
রোববার রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আর রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও এবিএম আলতাফ হোসেন।
পরে ওমর সাদাত সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল। সে আবেদনের ওপর আপিল বিভাগ নো-অর্ডার আদেশ দিয়েছেন। ফলে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ৬ মাস এবং ১৩ বছর নির্ধারণ নিয়ে করা পৃথক ১৫টি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৯ মে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ওই রায়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮-এর সংজ্ঞা সংক্রান্ত ২ ধারার ১১ উপধারা অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
এ ছাড়া রায় পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধদের সম্মানী পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
পরে ওই রায় স্থগিত করে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১৯ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ না দিয়ে শুনানির জন্য ২৩ জুন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। এ আদেশ অনুসারে রোববার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে তা শুনানির জন্য ওঠে।
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা’র সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে গেজেট জারি করা হয়। ওই গেজেটে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।’ এর পর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি একটি পরিপত্রের মাধ্যমে সে গেজেট সংশোধন করে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১২ বছর ৬ মাস। ওই দুটি গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন।