নিজস্ব প্রতিবেদক
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শনিবার বিকেলে গুলশানে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন। সংবাদ সম্মেলনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক মাসুদুর রহমান বুয়েটের ছাত্রদলের ভিপি ছিলেন সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশ কেনা ও তোলায় দুর্নীতিতে জড়িত মাসুদুর রহমান ছাত্রজীবনে ছাত্রদল নয় বাম করতেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সর্বৈব মিথ্যা। আমরা তার (মাসুদুর রহমান) সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছি। তিনি বুয়েটের ছাত্র ছিলেন না, কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবনের সম্ভবত তিনি একটি বাম সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত আমরা জানি না। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সঙ্গে জড়িত। মির্জা ফখরুল বলেন, পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর এমন মিথ্যাচার নিন্দনীয়। বিএনপি তাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচী পালন করা হবে।
বয়স সীমা প্রত্যাহার করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা যে আন্দোলন করছে তাকে ‘অযৌক্তিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের উচিত হবে ও অযৌক্তিক দাবির আন্দোলন বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে চলে আসা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর উপর বিক্ষুদ্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় মির্জা ফখরুল নিন্দা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভা নিয়মিত চলবে এবং শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা আবার বসবে। এছাড়া দলের নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়েছে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।