নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্দোলন, নির্বাচন এবং সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে ১৪ দলীয় জোট করা হলেও সবক্ষেত্রে তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ শরিক দলের নেতাদের। গেল ৫ বছরে বড় শরীক আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে তাদের। বার বার আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে বসার কথা বলেও সে সুযোগ পাননি তারা। আর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের মতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনেক বেশি পাওয়ায় আওয়ামী লীগের ভেতরে এক ধরনের অহমিকা কাজ করে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও এবার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি ১৪ দলের অন্য শরিকদের। নির্বাচনের পর কোনো কর্মকাণ্ডেও রাখা হচ্ছে না তাদের। বিষয়গুলো নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে আছেন তারা।
ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেহেতু এখন দল হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনেক বেশি পেয়েছে, সেহেতু এক ধরনের অহমিকা কাজ করছে। এই অহমিকা কাজ করে বলেই ১৪ দলকে বাইপাস করার প্রবণতা আছে।’
জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, ‘এক সঙ্গে আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠন করেছি। এবার সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সেই কাজটি হয়নি। আমরা মনে করি না যে, সরকারের মন্ত্রীত্বটাই বড়, এছাড়াও অনেক জায়গা আছে যেখানে ১৪ দল রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং সরকারিভাবে অনেক ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণ করতে পারে।’ শিরিন আক্তার আরও বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীর দেখা ১৪ দল হিসেবে যদি বলি আমরা দুই একবারের বেশি এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারিনি। ১৪ দলকে কার্যকর করার জন্য জেলা এবং উপজেলা পর্যন্ত একে বিস্তৃত ঘটানোর কথা বলছি, সেই কথাটা কর্ণপাত হচ্ছে না।’
সাম্যবাদী দল সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া বলেন, ‘একটা আকাঙ্খার জায়গা আছে যে ছোট দলগুলোতে মূল্যায়ন কোনো না কোনোভাবেই সরকার মূল্যায়ন করছে। সেটা যুক্তিসঙ্গত বলে আমি মনে করি এবং এটা হওয়া সময়ের দাবিও বটে।’