খেলা ডেস্ক
বিশ্বকাপের ঘোষিত দলে প্রথমে ছিলেন না। দলে পরিবর্তন এনে শেষ মুহুর্তে ওহাব রিয়াজকে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেওয়া হয়। সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন তিনি। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে বিশ্বকাপের টপ ফেভারিট ইংল্যান্ডকে ১৪ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ট্রেন্টব্রিজে বিশ্বকাপের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে বিশাল রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। নির্ধারিত ওভার শেষে আট উইকেট হারিয়ে ৩৪৮ রান করেন সরফরাজরা। টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে ইংলিশরা। জো রুট ও বাটলারের সেঞ্চুরিতেও শেষ রক্ষা হয়নি ইংল্যান্ডের। সর্বোচ্চ ১০৭ আসে জো রুটের ব্যাট থেকে। ১০৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাটলার। বেয়ারেস্টো ৩২ রান করেন। এ তিনজন ছাড়া ইংল্যান্ডের আর কেউই নামের পাশে সুবিচার করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান করে ইংল্যান্ড।
পাকিস্তানের হয়ে ওহাব রিয়াজ সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির ও শাদাব খান।
অথচ বাজেভাবে হার দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিন নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ১০৭ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছেন হাফিজরা।
ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরুর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ইনিংস শেষ করে পাকিস্তান। ফাখহার-ইমামের ভালো সূচনার পর হাফিজ, বাবর ও সরফরাজের হাফসেঞ্চুরিতে এই রান করে ৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
সর্বোচ্চ ৮৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজ। মাত্র ৬২ বলে আটটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভারবাউন্ডারি দিয়ে তার ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন। এ ছাড়া বাবর আজম ৬৩ ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ৫৫ রান করেন। দুই ওপেনার ইমাম ৪৪ ও ফাখহার ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।