খেলা ডেস্ক
প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে উড়ে গেলো বাংলাদেশ। মাশরাফীর দলের হার ৯৫ রানে। টিম ইন্ডিয়ার দেয়া ৩৬০ রানের টার্গেটে ২৬৪ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। সেঞ্চুরি করেছেন লোকেশ রাহুল আর মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান মুশফিকুর রহিমের। অবশ্য বিশ্বকাপে একাদশ নির্বাচনে এ ম্যাচে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায় টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রস্তুতির প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় ভারতের বিপক্ষে জয় পরাজয় ছাপিয়ে বিশ্বকাপে সঠিক কম্বিনেশনের খোঁজ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বাংলাদেশের জন্য। সে পথেই হেটেছেন মাশরাফী। টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে নয় বোলারকে পরখ করেছেন তিনি। মোস্তাফিজ, মাশরাফী, সাইফুদ্দিন, রুবেল, আবু জায়েদ, সাকিব, মেহেদী, মোসাদ্দেক, সাব্বির বাদ যাননি কেউই। তাইতো পুরো দশ ওভার বল করার সুযোগ পাননি কোন বোলার।
তবে পেস বোলার হিসেবে সফল দলের অটোমেটিক চয়েজ। মোস্তাফিজ, মাশরাফী, সাইফুদ্দিন এ তিন জনের ইকোনমি ছয়ের নিচে। রুবেল খরুচে হলেও ঝুলিতে পুরেছেন ২ উইকেট। পেসারদের কল্যানে ১০২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছছিলো ভারত। সুবিধা করতে পারেননি শিখর, রোহিত, বিজয়, কোহলিরা। প্রথম ২৫ ওভারে ওঠে ১২৪ রান। সেতুলনায় ব্যর্থ স্পিনাররা। সাকিব, মেহেদী মিরাজ, মোসাদ্দেকদের নির্বীষ বোলিংয়ে রান পাহাড়ে উঠেছে ভারত। ওভার প্রতি দশ রানের বেশি দিয়ে বিশ্বকাপ একাদশে নিজের অবস্থান নিয়ে শঙ্কায় আবু জায়েদ রাহী। ভারতের ত্রাতা লোকেশ রাহুল আর মহেন্দ্র সিং ধোনি। দুজনেই পেয়েছে সেঞ্চুরির দেখা। ব্যাটসম্যানদের নিয়েও পরীক্ষা চালিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ওপেনিংয়ে নেই তামিম। লিটন-সৌম্যের পার্টনরারশিপ ৪৯ রানের। তবে ওয়ানডাউনে নেমে বুমরার দারুন ইয়র্কারে গোল্ডেন ডাকে ফিরেছেন সাকিব। একই পথে হেটেছেন মিঠুন, মোসাদ্দেকরা।
তবে ভরসার প্রতীক হয়েছিলেন লিটন আর মুশফিক। এ দুজনের ১২০ রানের জুটিতে সপ্নের জাল বুনেছিলো বাংলাদেশ। তবে লিটন ৭৩ আর মুশফিক ৯০ রানে ফিরলে নিভে জায় আশার আলো। ব্যাট হাতে তিন ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে ফেরা, অধিকাংশদের ব্যর্থতা কিছুটা চিন্তার কারন হতে পারে মাশরাফীর দলের। বিপরীতে সিংহ ভাগ উইকেট ভারতীয় স্পিনাররা নিয়ে প্রমান করেছেন ইংলিশ কন্ডিশন শুধুই পেসারদের জন্য নয়।