লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবির দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে সরে যেতে চাইছেন রাহুল গান্ধী৷ বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এই জল্পনা চলছিল যে পদত্যাগ করতে পারেন তিনি৷ তবে সেই খবর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা৷ যদিও তাতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায়নি৷ সত্যি এবার পদত্যাগ করতে চাইছেন রাহুল, প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন সেকথা৷ খবর কলকাতা টোয়েন্টিফোরের।
যদি সত্যিই রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করেন, তাহলে তার আসনে কে বসবেন? কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির আলোচনার মূল অ্যাজেন্ডা হতে চলেছে উত্তরসূরি বিষয়টি৷ তবে রাহুল গান্ধীকে এই সিদ্ধান্ত থেকে বিরত করার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা৷ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সূত্র বলছে, রাহুল গান্ধী পদত্যাগ করলে কংগ্রেসের সাংগঠনিক কাঠামোতেও বড়সড় পরিবর্তন আসবে৷ নতুন নতুন অনেক মুখকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে৷
কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল ও কেসি ভেনুগোপালের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন রাহুল৷ সেখানেই দলের নতুন সভাপতি খোঁজার পরামর্শ দেন তিনি৷ কারণ এই বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, যে সভাপতির পদ থেকে সরছেন৷ তার এই সিদ্ধান্তের বদল হবে না বলেই কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে৷
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সেই সূত্র মারফত খবর লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলের পর দলের বিপর্যয়ের দায়িত্ব নিজের ঘাড়েই নিচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি৷ ফলে পদ ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি৷
তবে কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা তার এই সিদ্ধান্তে সহমত নন বলেই খবর৷ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এতটাই ভেঙে পড়েছেন, যে সদ্য নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গেও তিনি দেখা করতে চাইছেন না৷ তার যাবতীয় বৈঠকও বাতিল ঘোষণা করেছেন রাহুল৷
শনিবারও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকে কংগ্রেস৷ সেখানে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের মতো প্রবীণ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন রাহুল৷
উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনে ৩০০টিরও বেশি আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় বসছেন নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে শোচনীয় অবস্থা কংগ্রেসের। এরপরেই জানা যায়, কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে চান রাহুল গান্ধী। সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতেই দলের কাছে রাহুল এই ইচ্ছা-প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।