নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশটি। এ সময় ‘বিতর্কিত’দের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত তাঁরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দেন।
রোববার দিবাগত রাত একটা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত অংশের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, যে কমিটিতে ‘বিতর্কিতরা’ রয়েছেন, সেই কমিটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিলে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করা হবে।
এর আগে রোববার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সবাইকে নিয়ে সোমবার সকালে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে বলে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশটি।
রোববার রাত পৌনে দুইটায় পদবঞ্চিতরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে নিজেদের দাবির পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। সেসময় তাঁরা, ‘বিতর্কিতদের কমিটি, মানি না, মানব না’, ‘অছাত্রদের কমিটি, মানি না, মানব না’, ‘অবৈধ কমিটি, মানি না, মানব না’, ‘বিবাহিতের ঠিকানা, ছাত্রলীগে হবে না’, ‘প্রহসনের কমিটি, মানি না, মানব না’, ‘মাদকসেবীর ঠিকানা, ছাত্রলীগে হবে না’, ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে ছাত্রলীগ ছাড়’, ‘শিবিরের কমিটি, মানি না, মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
পদবঞ্চিতদের এই অবস্থান কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা দলের জন্য, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঘাম ঝরিয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে সংগঠনের কমিটি করা হয়েছে। আমাদের যেসব আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। বিতর্কিতদের বাদ না দিয়ে এই কমিটি নিয়েই কালকে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যাবেন বলে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। বিতর্কিতদের নিয়ে ফুল দিলে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা করা হবে।’ বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলেও জানান রাকিব।
এ দিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রোববার বলেছেন, কমিটিতে থাকা যাঁদের নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ঈদের আগেই বিতর্কিতদের পদ শূন্য ঘোষণা করা হবে।