মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিরা হলেন, নিহত আনিস খাদেমের বংশীয় বড় ভাই শহিদুর রহমান খাদেম ওরফে মিনু খাদেম ওরফে মামা খাদেম, তার ভাড়া করা সন্ত্রাসী মাহবুব আলম লিটন ওরফে দাতভাঙ্গা লিটন (পলাতক), শেখ শামীম আহম্মেদ, মো. জুয়েল, কামাল হোসেন বিপ্লব (পলাতক) ও সোহেল ওরফে ক্যাটস আই সোহেল।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বাবু ওরফে হোন্ডা বাবু ওরফে টিএন্ডটি বাবু ওরফে চুলা বাবু ওরফে টুইন্যা বাবু (পলাতক)। রায়ে যাবজ্জীবন প্রাপ্তের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় খালাসপ্রাপ্তসহ পাঁচজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর চারজনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩ মে রাজধানীর মালিবাগস্থ শাহী মসজিদের গলিতে মাজারে অনুদান দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে আনিস খাদেমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের ছেলে সাইদুল হক খাদেম রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর নিহতের মোবাইল ফোন ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে আসামি আজগর হোসেন রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রানা তার মামাতো ভাই আসামি সোহেলের কাছ থেকে মোবাইলটি ক্রয় করে। এরপর সোহেলকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে হত্যার রহস্য উৎঘাটিত হয়। বেরিয়ে আসে নিহত আনিস খাদেমের বংশীয় বড় ভাই শহিদুর রহমান খাদেমের নাম। আহম্মেদ উল্লাহ স্টেটের সম্পত্তি, মাজার দখল ও মাজারের ক্ষমতা নিয়ে বিরোধের জেরে জেলে থাকাবস্থায় তিনিই আসামি লিটনের সঙ্গে আনিস খাদেমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে কারাগার থেকে বের হয়ে অন্যান্য আসামিদের অর্থের বিনিময়ে হত্যা করতে বলে। সে অনুযায়ী আনিস খাদেমকে আসামি শামীম মোবাইল ফোনে মাজারে অনুদান দেয়ার কথা বলে ডেকে আনে এবং গুলি করে হত্যা করেন।