হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল মধ্যবয়সি দুই হাজার মানুষ নিয়ে দীর্ঘ আট বছর ধরে একটি গবেষণা করেছে৷ এতে অংশগ্রহণকারীদের স্মরণশক্তি ও চিন্তাশক্তির পরীক্ষা করা হয়৷ তাছাড়াও রক্তে কর্টিসোল বা মানসিক চাপের হরমোন টেস্ট করা হয়৷
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের রক্তে কর্টিসোলের মাত্রা স্বাভাবিক বা কম তাদের চেয়ে, যাদের রক্তে কর্টিসোল মাত্রা বা মানসিক চাপের হরমোনের মাত্রা বেশি, তাদের স্মরণশক্তি বা চিন্তাশক্তি দূর্বল থাকে৷ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের অতিরিক্ত মানসিক চাপ ছিল তাদের রক্তে কর্টিসোলের মাত্রা বেশি দেখা গেছে৷
মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ব্যয়াম, খেলাধুলা ও যোগব্যয়াম করা উচিত বলে বিশেজ্ঞরা মনে করেন৷ এছাড়া জগিং করলে কিংবা সাইকেল চালালে একদিকে যেমন কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম শক্তিশালী হয়, তেমনি মানসিক চাপও কমে৷ তবে কোনো প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলা নয় কিন্তু! কারণ এতে ফল হয় উলটো, অর্থাৎ রক্তে চাপ হরমোনের মাত্রা আরো বেড়ে যেতে পারে৷
সারা বিশ্বে আজ ‘বার্নড আউট’ বা মানসিক চাপের রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে৷ কর্মক্ষেত্রে চাপ ও প্রতিযোগিতা বাড়াই হয়ত এর বড় কারণ৷ মানসিক চাপ বাড়ার ফলে যে কর্মক্ষেত্রে শুধু কর্মীরাই ভোগেন তা নয়, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতিতেও৷