নিহত মানসুরা বাবার নাম নজির হোসেন তালুকদার। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মানসুরা ছোট।
পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাকেরিন জাহান জানান, দুপুরে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বাংলার পাঠদান চলছিল কক্ষটিতে। হঠাৎ ছাদের বিমের একটি বড় অংশ ধসে পড়লে মানসুরাসহ পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত অন্য শিক্ষার্থীরা হল সাদিয়া আক্তার, রুমা, ইসমাইল, এবং শাহিন। গুরুতর আহত অবস্থায় মানসুরাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার চেষ্টা করলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
ছোটবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিক উজ জামান তনু জানান, যে ভবনটির বিমের অংশ ধসে পড়েছে সে ভবনটি সেতু এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০০২ সালে নির্মাণ করে। এরপর একাধিকবার তা সংস্কারও করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরনের ঘটনা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও ঠিকাদারদের দায়িত্ব অবহেলাকেই চিহ্নিত করে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা শঙ্কামুক্ত। দুর্ঘটনার পর ওই ভবনে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।