বরিশাল ব্যুরো : টানা ১২ দিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের পর তা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সার্কিট হাউসে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বরিশালের প্রশাসন, শিক্ষক, সুশীল সমাজ ও শিক্ষার্থীদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এদিকে রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান।
এছাড়া শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে হল পূর্ণরূপে চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
রুদ্ধদ্বার বৈঠক থেকে বের হয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকে যে ২২ দফা দাবির কথা বলে আসছিল তা মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। পাশাপাশি ভিসি ইমামুল হককে ছুটিতে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বৈঠক থেকে এবং এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তিনিই গ্রহণ করবেন।
বৈঠকে উপস্থিত আন্দোলনরত ছাত্র নেতা সিফাত জানান, বৈঠকে যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের সঙ্গে একমত হয়েছি আমরা। তাই মিটিংয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের যে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলাম তারা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর হানিফ, বিএমপি কমিশনার মোশারফ হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান, ডিজিএফআই বরিশালের কর্নেল শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের না জানানোর কারণে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেয়া হলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের। এরপরও শিক্ষার্থীরা টানা ১২ দিন আন্দোলনের পর শনিবার বরিশালের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।