নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য সুদৃঢ় আছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সত্যিকার অর্থে আজকে আমরা জনগণের সঙ্গে নিয়ে মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধার করার জন্য এ ফ্রন্ট গঠন করেছি। আজকে সরকার চেষ্টা করছে এ ঐক্যকে ভেঙে ফেলার জন্য। এ ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সজাগ থাকতে হবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা চাই। এখানে আমরা অন্য কোনো ব্যবস্থা মেনে নেব না। সেজন্য দলমত নির্বিশেষে আমরা জনতার ঐক্য গড়ে তুলে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো এবং গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যারা আজকে বাকশালের কথা নতুন করে ভাবছেন, যারা নতুন করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন গত ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, যারা আজকে বাংলাদেশকে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করার সমস্ত আয়োজন সমাপ্ত করেছেন তারা বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। ভয় পায় এজন্য যে, তিনি যদি বাইরে বেরিয়ে আসেন বা বাইরে থাকেন তাহলে জনগণকে আর কখনোই আটকে রাখা যাবে না, প্রতিরোধ বন্ধ করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের লোকজনের ঘুম নেই। আজকে তাদের এতো দুশ্চিন্তা বিএনপিকে নিয়ে যে, বিএনপি নিয়েই সব সময় কথা বলছেন। কেনো বিএনপি যদি ব্যর্থ না হয়ে থাকে, বিএনপি যদি আপনাদের সামনে কোনো প্রতিপক্ষ না-ই হয় তাহলে বিএনপিকে নিয়ে এতো কথা বলছেন কেনো?’
খালেদা জিয়াকে কারাগারে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) খুবই অসুস্থ। আজকে কিছুক্ষণ আগে আমি পিজি হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) খবর নিয়েছি। তার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড করা হয়েছে সেই বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অবিলম্বে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা দরকার। তার চিকিৎসা অত্যন্ত বেশি প্রয়োজন হয়ে গেছে। সেই নেত্রীকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও নিয়মিত দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। তার সুচিকিৎসা না করে তার যে প্রাপ্য আইনগত অধিকার জামিন তা না দিয়ে তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।’
গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ বক্তব্য দেন।