এই আদেশের ফলে রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকাসহ যাবতীয় খরচ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছে রিট আবেদনকারী আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার শামসুল হক রেজা ও অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড খবির উদ্দিন ভূঁইয়া। গ্রিনলাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী অজি উল্লাহ।
গত ১২ মার্চ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন।
৫০ লাখ টাকা দেয়ার আদেশের পাশাপাশি রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে এবং কাটাপড়া বাম পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছিল।
সেদিন চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের করা আবেদনটি ৩১ মার্চ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে।
গত বছরের ২৮ এপ্রিল গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাস রাজধানীর ধোলাইপাড় থেকে দ্রুত গতিতে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার সময় একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। তখন প্রাইভেটকারের চালক রাসেল গাড়ি থেকে নেমে বাসকে থামতে বলেন। কিন্তু বাসচালক কবির গাড়ি চালিয়ে দেন চালক রাসেলের পায়ের ওপর। এতে রাসেলের একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাসেলের বড় ভাই আরিফ সরকার বাসচালক কবির মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।