মুন্সীগঞ্জে চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ছয় উপজেলার ৪৯৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। জেলা শহরের একটি কেন্দ্রের মোট বুথ ৬টি, সকাল ৮টা থেকে ১০টায় দুই ঘণ্টায় দুটি বুথে কোনো ভোট পড়েনি। বাকি চারটিতে ভোট পড়েছে পাঁচটি।
রোববার সকাল ১০টার দিকে শহরের দক্ষিণ ইসলামপুর বড় মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে এমন তথ্যই পাওয়া যায়।
রোববার সকাল ৮টা থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
সকাল থেকেই এসব কেন্দ্রের অধিকাংশই রয়েছে ভোটারশূন্য। শহরের দক্ষিণ ইসলামপুর বড় মাদ্রাসা কেন্দ্রে দেখা যায়, দুই হাজার ৭৬ ভোটার থাকলেও কেন্দ্রটি পুরো ফাঁকা।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার মাহবুবুল হক আল কমর জানান, কেন্দ্রটিতে মোট বুথ ছয়টি, সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় দুটি বুথে কোনো ভোট পড়েনি। বাকি চারটিতে ভোট পড়েছে ৫টি।
মুন্সীগঞ্জ শহরের যোগীনঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়লের প্রিসাইডিং অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রটিতে রয়েছে মোট দুই হাজার ৬৬ ভোটার। সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি কম।
তবে কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে মুন্সীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্র সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে লাইনে দাঁড়ান নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। তাদের প্রায় সবার গলায় নৌকার প্ল্যাকার্ড ঝুলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সব কেন্দ্রই ভোটারশূন্য।
৬ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৯ প্রার্থী।
জেলা নির্বাচন অফিস তথ্যমতে, জেলায় এবার ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৩ জন ও নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৪ জন।
জেলায় এ বছর সর্বাধিক ভোটার দুই লাখ ৯০ হাজার ৭০৮ জন রয়েছে সদর উপজেলায়।
এবার জেলায় প্রথমবারের মতো শুধু সদর উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে হবে ভোটগ্রহণ। ইভিএম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থাকবেন।
নির্বাচনে ৪৯৭ কেন্দ্রের মধ্যে জেলা সদরে ১১৬টি কেন্দ্রে ইভিএম এবং বাকি ৩৮১ কেন্দ্রে ভোটাররা স্বাভাবিক নিয়মেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ভিডিপিসহ আইনশৃঙ্খলার প্রায় তিন হাজার সদস্য।