২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:০১

শাহজাদপুরে দীর্ঘ হচ্ছে অভাবী মানুষের মিছিল

শাহজাদপুর প্রতিবেদক:
চালের মূল্য বৃদ্ধি এবং রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের বাজার উর্ধ্বমূখী হওয়ায় শাহজাদপুর উপজেলায় বাড়ছে অভাবী মানুষের নিরন্ন মিছিল। এক দিকে হাওর অঞ্চলে কৃষকের সোনালী ধানের স্বপ্ন পানির নীচে,অপরদিকে শাহজাদপুর উপজেলার অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি দুগ্ধ শিল্পের স্মরণকালের ভয়াবহ দুরবস্থা এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা থমকে দিয়েছে। পাশাপাশি তাঁত শিল্পের নাজুক অবস্থা মরার উপর খড়ার ঘা’এ পরিণিত হয়েছে। বিশেষ করে দিন এনে দিন খাওয়া,মধ্যবিত্ত আর নিম্ম আয়ের মানুষের এখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। প্রতি বছর এ মৌসুমে শাহজাদপুরের দিনমজুরদের অনেকেই সিলেট ও রাজশাহী এলাকায় ধান কাটা শ্রমিক হিসেবে পাড়ি জমালেও সুনামগঞ্জ,কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় অকাল বন্যায় ধানক্ষেত ডুবে যাওয়ায় ঐ অঞ্চলের কৃষকদের পাশাপাশি শাহজাদপুরের দিনমজুরদের কপাল পুড়েছে। বাজারে নতুন ধান উঠলেও চালের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে আসেনি । কিন্তু একদিকে রমজান মাস অপরদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের মধ্যে নাবিশ্বাস এনে দিয়েছে। সাধারণ দিনমজুর,নিম্ম আয়ের ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের পক্ষে ৫০ টাকা কেজি চাল ক্রয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। খরচের তুলনায় আয় না থাকায় ক্রমান্বয়ে ঋণগ্রস্থ্য হচ্ছে মানুষ। ফলে দরিদ্র মানুষের মত মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষও ছুটছেন জনপ্রতিনিধিদের দুয়ারে। সরকার কর্তৃক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর মাধ্যমে ১০টাকা কেজি চাল বিক্রি করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ডিলারগণ নির্দিষ্ট কার্ডের বাইরে কাউকে চাল দিচ্ছেননা। ফলে প্রতিটি ইউনিয়নে দুইজন ডিলার নিয়োগ করলেও চাহিদার তুলনায় অতিনগন্য। নির্দিষ্ট কার্ডের বাইরেও অধিক সংখ্যক অভাবী মানুষের আকূতি লক্ষ করা গেছে সরে জমিনে ঘুরে। কিন্তু কার্ডের বাইরে চাল না দেওয়ার সুযোগ না থাকায় রিক্ত হস্তেই ফেরৎ যেতে হচ্ছে অভাবী মানুষদের। দিন যত গড়াচ্ছে শাহজাদপুর উপজেলায় অভাবী মানুষের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। বিশেষ করে দুগ্ধ শিল্পের দুর্দিন আর তাঁত শিল্পের নাজুক পরিস্থিতি শ্রমজীবি মানুষকে বেকার করছে। সবকিছু মিলিয়ে শাহজাদপুর উপজেলার সর্বত্র নিম্ম আয়ের মানুষের মাঝে হাহাকার,আর দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে চলছে নিরব দূর্ভিক্ষ। আগামী ৫ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ১০টাকা কেজি চাল বিক্রি বন্ধ থাকায় গরীব ও দুস্থ্যদের অভাবকে আরও তরান্বিত করবে। ফলে অভাবী মানুষগুলোর দুঃখ লাঘবে ১০টাকা কেজির চাল সবার জন্য নায্য মূল্যের ভিত্তিতে উন্মুক্ত বিক্রির দাবী উঠছে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। সেই সাথে ৬ মাস পর নয় এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ১২ মাস অব্যাহত রাখলে অভাবী মানুষের সংখ্যা হৃাস পাবে।

দৈনিক দেশজনতা/এন আর

 

প্রকাশ :জুন ৭, ২০১৭ ৯:৩৫ অপরাহ্ণ