ভোলা প্রতিনিধি:
মেশিনে কৃত্রিম পেঁয়াজ-রসুন বানিয়ে উপকূলে আসছে ইয়াবার চালান। কক্সবাজার থেকে লক্ষ্মীপুর, এরপর ট্রুলার বা স্পিডবোটে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে দ্রুত পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ভোলায়। আবার ভোলা থেকে ইয়াবার চালান যাচ্ছে তেঁতুলিয়া নদী পাড়ি দিয়ে পটুয়াখালী ও বরগুনায়। এর পেছনে রয়েছে বিশাল এক নেটওয়ার্ক। কোটি টাকার বাণিজ্য। তবে অর্থের জোগানদাতারা থেকে যাচ্ছে আড়ালে।
সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে চলছে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান। জানা গেছে, ইয়াবা বা মাদকের চালান পরিবহনে কখনও ব্যবহার করা হচ্ছে অল্প বয়সী তরুণদের, আবার কখনও ভদ্রবেশি যাত্রীদের লাগেজে আসছে ওই সব চালান। দিন দিন এর মাত্রা বাড়ছে। সম্প্রতি এক সুধী সমাবেশে ভোলাকে মাদকমুক্ত রাখতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। এরপর থেকে পুলিশ মাঠে সক্রিয়। গেল ৫ দিনে ৮ হাজার ৮৭১ পিস ইয়াবাসহ ৫ জন আটক হয়েছে। এসব ইয়াবার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন জানান, মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নয়- এমন নির্দেশ সব পুলিশকে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ জব্দকৃত চালানে দেখা গেছে একটি শপিং ব্যাগে একশ’ পিস রসুন। যে কেউ ভাবতে পারে পরিবারের জন্য রসুন কেনা হয়েছে। দেখতে আসল রসুনের মতো। বাজারেও বিক্রি হচ্ছে হরদম। কিন্তু ভেতরে ইয়াবা। রসুনগুলো তৈরি হয়েছে মেশিনে।
এর ৩ দিন আগে ৬ হাজার ১১৮ পিস ইয়াবার চালানসহ গ্রেফতার হয় ভোলার প্রাইভেট কারচালক মো. রুবেল ও তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার। ফারজানার বাড়ি কক্সবাজারে। সে সিটি কলেজের ছাত্রী ছিল। কিন্তু এদের পেছনে কাদের পুঁজি রয়েছে, তা থেকে যাচ্ছে আড়ালে। তবে বিগত দিনে যারাই আটক বা গ্রেফতার হয়েছে, তারা নানাভাবে পার পেয়ে গেছে। ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাওয়ায় এবারের পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান কতটা সফল হবে তা নিয়ে সুশীল সমাজের সংশয় থেকে গেছে। তবে এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই।
ভোলা থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, এখন আর কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর