খেলা ডেস্ক
রিয়াল বেতিসের গোলরক্ষক লোপেজকে দর্শক বানিয়ে মেসি যে ফ্রি কিক নিলেন; কোনো বিশেষণেই সেটা বর্ণনা করা যাবে না। ১৮তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মেসির ফ্রি কিক থেকে এগিয়ে যাওয়া বার্সেলোনা ব্যবধান বাড়ায় প্রথমার্ধেই। এবারও স্বাগতিকদের বুকে ছুরি চালান মেসিই। প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ে ডি বক্সের ভেতরে সুয়ারেজের দুর্দান্ত পাস থেকে বল জালে জড়ান মেসি। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে আরেকটি মেসিময় গোল। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেন সুয়ারেজেও। ৪-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।
প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থাকা রিয়াল বেতিস বেশ কবার গোলের সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করে। গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন সুয়ারেজও। যদিও মেসির করা দ্বিতীয় গোলে সুয়ারেজের অসামান্য অবদান ছিল। ডিয়াগো ফোরলেনের পর সুয়ারেজই একমাত্র উরুগুইয়ান খেলোয়াড় যিনি লা লিগায় এ নিয়ে ১২৮টি গোল করেছেন।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬০তম মিনিটে মেসির বাড়ানো বলে গোলের সুযোগ ছিল সুয়ারেজের। সেটা হাতছাড়া করেন সুয়ারেজ। উরুগুইয়ান তারকার মিস করা বল পান ভিদাল, তিনিও সেটা জালে জড়াতে পারেননি। পরের মিনিটে ফের আক্রমণে ওঠে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এবারও মেসির বাড়ানো বল থেকে লোপেজকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন সুয়ারেজ।
পরের মিনিটে সুয়ারেজের মনে জেদ চেপে বসেছিল নিশ্চিত! একাই বল ছুটলেন। এক এক করে বেতিসের রক্ষণের খেলোয়াড়দের পেছনে ফেলে তেড়েফুঁড়ে গেলেন। বল জালে জড়ালেন দুর্দান্ত গতিতে। ৩-০ এগিয়ে যায় ভালভার্দের শিষ্যরা। ৮২তম মিনিটে বার্সেলোনার রক্ষণের ভুলে দুর্দান্ত এক গোল করেন লরেন মরোন। মিনিট দু-এক পর ভিদালের শট আটকে বেতিসকে রক্ষা করেন লোপেজ। পরের মিনিটে লোপেজের আর কিছু করার ছিল না। কারণ মেসি যা দেখালেন সেটা তিনি মেসি বলেই সম্ভব হয়েছে। কর্নার কিক থেকে পাওয়া বলে রাকিটিচের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে মেসি যে শট নিলেন…সত্যি চোখে লেগে থাকার মতো।
লা লিগায় এ নিয়ে ৩৩টি হ্যাটট্রিক করলেন মেসি। আর এক হ্যাটট্রিক করলেই রোনালদোকে ছুঁয়ে ফেলবেন আর্জেন্টাইন গোলমেশিন। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩৪টি হ্যাটট্রিকের মালিক জুভেন্টাসের পর্তুগীজ তারকা।
খেলা শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে মেসির বুলেটগতির শট পোস্টে না লাগলে ব্যবধান বাড়ত আরও। এমন খেলা দেখে যে কেউ বলতে বাধ্য—পয়সা উশুল, খেলা দেখা স্বার্থক।