নিজস্ব প্রতিবেদক
অবেশেষে আশঙ্কাটাই সত্যি হলো। পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছিলো নিখোঁজ দুই বান্ধবী ফাতেমা তুজ জোহরা (বৃষ্টি) ও রেহনুমা তাবাসসুম (দোলা) আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। কিন্তু তাদের লাশের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো। এরপর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে গত ৬ মার্চ আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ৯ জন পুরুষ ও দুই নারীর মধ্যে ফাতেমা তুজ জোহরা বৃষ্টির খোঁজ পাওয়া যায়। এবার খোঁজ পাওয়া গেল রেহনুমা তাবাসসুম দোলার মরদেহের।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপে পাঁচটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে সিআইডি। এর মধ্যে মিললো দোলার মরদেহ। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, দোলার বাবা দলিলুর রহমান দুলালের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে এটি মিলে যাওয়ায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটিই তার মরদেহ। মরদেহ হস্তান্তরের জন্য ইতোমধ্যে শনাক্তদের পরিচয় চকবাজার থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন দুই বান্ধবী ফাতেমা তুজ জোহরা (বৃষ্টি) ও রেহনুমা তাবাসসুম (দোলা)। বৃষ্টি পড়তেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের তৃতীয় বর্ষে। আর দোলা আইন নিয়ে পড়তেন মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে। সম্পর্কে তারা খালাতো বোন হলেও সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। দু’জনেই যুক্ত ছিলেন আবৃত্তি সংগঠনে।
ঘটনার দিন ২০ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠান শেষে দুজনে বাড়ির পথ ধরেছিলেন একই সঙ্গে। তবে সেদিনের পর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না।
অবশ্য ঘটনার এক সপ্তাহ পর চুরিহাট্টার শাহি মসজিদের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে বৃষ্টি ও দোলার অবস্থান। দুর্ঘটনার কয়েক মিনিট আগে রিকশায় দেখা যায় এই দুই বোনকে চুরিহাট্টার শাহি মসজিদের পাশের গল্লিতে। এবার জানা গেল তারা দু’জনই ওই আগুনে পুড়ে মারা যান।