নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর ঢাকসু নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ নির্বাচন নিয়ে সর্বমহলে এক ধরনের আগ্রহ ছিল। কিন্তু যে নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা হতাশ হয়েছি।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ঢাকসু নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ ও সাধারণ ছাত্রদের ন্যয্য দাবীর প্রতি সমর্থন জানান তিনি।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা.মঈন খান, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল, গনফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, প্রেসেডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোকাব্বের খান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ তারিখের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের প্রতি ঘৃনা জানিয়ে জনগন ১ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে যায়নি। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে ফখরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার জামিন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
মৌলভীবাজার ২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মনসুরের শপথ গ্রহণের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সুলতান মনসুর জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেব।
তেল, গ্যাস ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আগামী মাসে জেলা ও বিভাগীয় শহরে জনসংযোগ করবে বলেও জানান ফ্রন্টের মুখপাত্র।