নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর দলের সিদ্ধান্তের বাইরে শপথ নিয়ে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করেছেন বলে মনে করেন প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বৃহস্পতিবার তিনি একটি দৈনিককে বলেন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে, যে দল নির্বাচনকে স্বীকার করছে না, সেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অর্থাৎ জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হল। স্বাভাবিকভাবে জনগণ এটাকে ভালভাবে নেবে না। আইনগতভাবে সংবিধানে কোনো বাধা নেই।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে আছে কোনো সংসদ সদস্য পার্লামেন্টে যদি ওই দলের বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাহলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু আমরা পার্লামেন্ট নেই। তাকে বহিস্কার করা হলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে না। কিন্তু এটা তিনি নৈতিকতা বিরোধী কাজ করেছেন। সেজন্য জাতী তাকে এজন্য কোনোভাবেই ভালোভাবে গ্রহণ করবে না।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন সুলতান মনসুর। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় পর গণফোরাম থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
অবশ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই সুলতান মনসুর শপথ নিতে পারেন বলে আলোচনা ছিল। নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ছয় জন এবং গণফোরামের সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান জয় পান। তবে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করায় বিজয়ীদের শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।