বিদেশ ডেস্ক
পাকিস্তানের অন্দরে বালাকোটে বায়ুসেনার বিমানহানায় কতজন জৈশ জঙ্গি খতম হয়েছে, তা জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার বা বায়ুসেনা। অথচ সংবাদমাধ্যম বলেছে, মৃতের সংখ্যা ৩০০র বেশি। এরমধ্যেই দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলে বসলেন, বায়ুসেনার হামলায় পাকিস্তানে কোনও জীবনহানি হয়নি। তাঁর কথায়, ‘আমরা কোনও ক্ষয়ক্ষতি করতে চাইনি। শুধু আমাদের ক্ষমতা বোঝাতে চেয়েছি! বাড়ির পাশে বোমা ফেলে পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আমরা বাড়িতেও বোমা ফেলতে পারি।’
এদিকে, খতম জঙ্গির প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। শনিবার দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ৪টি চ্যানেলের স্ক্রিনশট দিয়ে একটি টুইট করেছেন। এর একেকটিতে ‘সূত্রের খবর’ বলে একেক রকমের সংখ্যা দেখানো হয়েছে। ডেরেক জানিয়েছেন, বায়ুসেনা ক্রমাগত বলে যাচ্ছে, কোনও সংখ্যা বলবে না। তাহলে বিজেপি–র দু’একজন মন্ত্রী কেন অতিরঞ্জিত সংখ্যা বলছেন? মিডিয়া কেনই বা তা লুফে নিচ্ছে? ডেরেকের বক্তব্য, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে বিজেপি। তিনি লিখেছেন, ‘সেনা–জওয়ানরা ভারতের। মোদি–শাহ–বিজেপির নয়।’ অন্য একটি টুইটে ডেরেক লেখেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় খাকি হাফপ্যান্ট পরা ব্যক্তিরা পর্দার আড়ালে লুকিয়েছিলেন। তাঁরা এখন দেশপ্রেমের সার্টিফিকেট দিচ্ছেন!’
অন্যদিকে, জৈশইমহম্মদের ঘাঁটিতে ভারতীয় বিমানহানার পর স্থানীয়রা অন্তত ৩৫টি দেহ সরিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন ইতালীয় মহিলা সাংবাদিক ফ্রান্সেসকো মারিনো। তাঁর প্রতিবেদনে স্থানীয় সরকারি কর্মীদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে ১২ জন ছিল এক অস্থায়ী ছাউনিতে। ঘটনার পর এলাকা ঘিরে ফেলে পাক সেনা। পুলিশকেও ঢুকতে দেয়নি তারা। প্রাক্তন আইএসআই অফিসার ‘কর্নেল সালিম’, পেশোয়ার থেকে আসা জৈশের প্রশিক্ষক মুফতি মইন ও বোমা বিশেষজ্ঞ উসমান গনি ওই হামলায় মারা যায়। সংবাদমাধ্যমের অনেকে বলেছেন জাবা গ্রামের সর্বত্র তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি।