খেলা ডেস্ক
দুর্দান্ত এক মাস কাটিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। টানা দুই ম্যাচে বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠ থেকে ইতিবাচক ফল নিয়ে ফিরেছে তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগে আয়াক্সের মাঠ থেকেও পেয়েছে প্রত্যাশিত জয়। লা লিগার দৌড়ে আবারও বার্সেলোনার পেছনে চলে এসেছিল রিয়াল। কিন্তু ঘরের মাঠে কাতালান আরেক দলই সর্বনাশ করল রিয়ালের। লিগে ১৭তম স্থানে থাকা জিরোনার কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে গেছে লস ব্লাঙ্কোরা। বার্সেলোনার চেয়ে ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে লিগে আবার তৃতীয়স্থানে চলে গেছে রিয়াল।
ঘরের মাঠে বেশ আক্রমণাত্মক শুরু করেছিল রিয়াল। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পেতে ২৫ মিনিট লেগেছে তাদের। ক্রুসের এক ক্রস বক্সে উড়ে এলে দারুণ এক হেডে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। এরপরও আক্রমণের গতি কমেনি রিয়ালের। কিন্তু একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি করেও গোলের মুখ আর খুলতে পারেনি তারা। এটাই শেষ পর্যন্ত কাল হয়েছে তাদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও রিয়ালের প্রতাপ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরেছে জিরোনা। ৬৩ মিনিটে রামোস হাত দিয়ে বল আটকালে পেনাল্টি পায় জিরোনা। সেখান থেকে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন জিরোনার উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার স্টুয়ানি। জয়ের আশায় রিয়াল কোচ সোলারি ভিনিসিয়ুস, বেল ও মারিয়ানোকে মাঠে নামান। কিন্তু মাঝ মাঠে খেলোয়াড় কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েছে। কাসেমিরোর কাছ থেকে মাঝমাঠে বল কেড়ে নিয়েছিলেন ডগলাস লুইজ। লুইজের কাছ থেকে বল পেয়ে লোজানো যে শট নিয়েছিলেন সেটা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কোর্তোয়া। কিন্তু ফিরতি বল অনায়াসে জালে পাঠিয়েছেন পর্তু।
এরপর বহু চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি রিয়াল। উল্টো ৯০ মিনিটে বাইসাইকেল কিক মারতে গিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন রামোস। দলের হারের সঙ্গে অধিনায়কের আরেকটি লাল কার্ডও দেখতে হলো রিয়ালকে।