নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দায়িত্ব হল সীমান্ত পাহারা দেয়া। কিন্তু তারা সীমান্ত পাহারা না দিয়ে বিএসএফের মতোই বাংলাদেশিদের হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, প্রায় দিনই বিএসএফ বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে, অথচ বিজিবি এ বিষয়ে নির্বিকার। বাংলাদেশিদের হত্যা করতে তারা কুণ্ঠাবোধ করছে না।
মিডনাইট সরকারকে সহায়তা করার জন্যই পুলিশ র্যাবের মতো বিজিবিও সেই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছিল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বিজিবির গুলিতে নিহতদের পরিবারে যখন শোকের মাতম চলছে তখন নিহতদের নামে আবার মামলা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, হরিপুর উপজেলা বহরমপুর ও রুহিয়া গ্রামের ২৭২ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে বিজিবি। একটি মামলার এজাহারে বিজিবির গুলিতে নিহত শিক্ষক নবাব আলী ও কৃষক সাদেক আলী নামও রয়েছে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, বিজিবির মামলার ভয়ে আতঙ্কে এখন পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে এলাকা। গ্রামবাসীদের মধ্যে বিরাজ করছে অস্থিরতা। গণবিচ্ছিন্ন এই অবৈধ সরকারও বেপরোয়া আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কিছু বলার নৈতিকতা হারিয়ে তাদেরকেই ক্ষমতা রক্ষার শিখণ্ডি মনে করছে।
‘ফলে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেআইনি কর্মকাণ্ড চালাতে উৎসাহী হচ্ছে। সেজন্য তারা অনাচার থেকে ‘ইনডেমনিটি’ পাচ্ছে। তারা মনে করছে কোন কাজের জন্যই তাদের জবাবদিহিতা করতে হবে না। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের যেন সরকারের প্রধান কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।’
রিজভী বলেন, আমাদের প্রশ্ন হলো, সামান্য দুটি গরুর জন্য আমাদের সীমান্ত প্রহরায় নিয়োজিত বিজিবি গুলি করে চারজন নিরীহ গ্রামবাসীকে কি করে হত্যা করতে পারে? আবার কী করে মৃত ব্যক্তির নামে মামলা দিতে পারে? তারা তো জনগণের পরিশ্রমলব্ধ অর্থে বেতন ভাতা নিয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন। রক্ষকরাই এখন ভক্ষক হয়ে উঠেছে।