খেলা ডেস্ক
ম্যাচটা হয়েছে বেলারুশে। ঘরের মাঠে বাতে বরিসভ জিততেই পারে। এ নিয়ে আলোচনার জন্ম হওয়ার কথা নয় । কিন্তু প্রতিপক্ষ দলের নাম যখন আর্সেনাল, তখন প্রশ্ন উঠবেই। ভালোবাসা দিবসের রাতে ইউরোপার প্রতিটি ম্যাচেই যখন ফেবারিটরা সবাই প্রত্যাশিত ফল নিয়ে ফিরেছে, তখন বরিসভের কাছে আর্সেনালের হার মেনে নেওয়া কঠিন। ইউরোপা লিগে দ্বিতীয় পর্বের প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে হেরে ফিরেছে আর্সেনাল।
মেসুত ওজিল বহুদিন ধরেই কোচের সুনজরে নেই। তবে এ ম্যাচে ওজিলের সঙ্গে রামসের বাদ পড়ায় ভূমিকা রেখেছে চোট। পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের ক্ষেত্রে সেটা বলার জো নেই। অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরলেও তাঁর জায়গা হয়নি মূল একাদশে। কিন্তু দলের অবস্থা যেমনই হোক না কেন, জার্সির ভারে হলেও অন্তত জয় নিয়ে ফিরবে আর্সেনাল সে বিশ্বাস ছিল সকলের। সে আশাতেও গুঁড়েবালি। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে পুরো ম্যাচই হারিয়ে বসে আর্সেনাল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মাঠের বাম প্রান্ত থেকে স্তাসিভিচের নেওয়া ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে দেন স্তানিস্লাভ দ্রাগুন। চেকের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়াতেই উল্লাসে ফেটে পড়ল বরিসভ। এই গোলই কাল হয়ে দাঁড়ায় আর্সেনালের জন্য।
এ জয়ের পেছনে বড় অবদান বাতে বরিসভের গোলরক্ষক ডেনিস শেরবিতস্কির। আর্সেনালের প্রতিটি আক্রমণের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই গোলরক্ষক। আর্সেনাল দুঃখ বাড়িয়েছে আরেকটি ঘটনা। শেষ বাঁশি বাজার ৫ মিনিট আগে লাল কার্ড হজম করেন স্ট্রাইকার লাকাজেতে। কাকতালই হবে হয়তো, এই লাকাজেতের সঙ্গেই তো পুরো বরিসভ দলের তুলনা চলে না।
লালকার্ড পাওয়া লাকাজেতে প্রতিবছর যে পরিমাণ বেতন পান তাঁর থেকেও কম মূল্য এই দলটির। বেলারুশের দলের মূল্য যেখানে মাত্র ১০ মিলিয়ন ইউরো, সেখানে লাকাজেতের বাৎসরিক বেতন বছরে ১১ মিলিয়ন ইউরো। এমনকি গত দুই মাস ধরে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলছে না। বেলারুশের লিগে রাজত্ব করা বাতে বরিসভের কাছে ইংলিশ দলের হার অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৯ সালে এভারটনকে হারিয়েছিল তারা এই ইউরোপা লিগেই।
ইউরোপা লিগের পরের পর্বে পা দেওয়ার জন্য আর্সেনালের কাজটা খুব একটা কঠিন নয়। নিজেদের মাঠে দুই গোলের ব্যবধানে জিতলেই চলবে তাদের। কিন্তু আর্সেন ওয়েঙ্গারকে বিদায় বলে দিয়ে নতুনের স্বপ্ন দেখা দলটি নিশ্চয় শেষ ষোলোর আগেই এমন কোনো সমীকরণের কথা ভাবেনি!