খেলা ডেস্ক
রাজশাহী কিংস ১৫৭/৫, ২০ ওভার (এভান্স ৭৪, জঙ্কার ৩৬*, খালেদ ২/৩০)
চিটাগং ভাইকিংস ১৫৯/৪, ১৯.৪ ওভার (মুশফিক ৬৪*, মোসাদ্দেক ৪৩*, সানি ৩/২২)
চিটাগং ৬ উইকেটে জয়ী
নিজেদের ২য় ম্যাচে সিলেটের কাছে হেরেছিল চিটাগং। এরপর থেকে তারা জিতেই চলেছে। শেষ রাজশাহীকে পিষ্ট করেছে তারা, মুশফিক-মোসাদ্দেকের দারুণ দুই ইনিংসে রানতাড়াকে সহজ বানিয়ে। এ নিয়ে টানা ৫ম ম্যাচ জিতল চিটাগং, ১২ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকাকে টপকে উঠে এলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
১৫৭ রানের সম্বল নিয়ে ইনিংসের প্রথম ধাপে অবশ্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ভালভাবেই ছিল রাজশাহীর কাছে, ৭১ রানে পড়েছিল ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে ব্রেকথ্রু এনেছিলেন মিরাজ, তাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। শাহজাদ রাব্বিকে টানা চার চারে আক্রমণ চালিয়ে গেছেন, তবে পরের ওভারে ফিরতে হয়েছে তাকে। সে ওভারে জোড়া আঘাত করেছেন আরাফাত সানি, প্রথমে স্টাম্পড ইয়াসির, এরপর এগিয়ে এসে তুলে মারতে গিয়ে লং-অফে ক্যাচ দিয়েছেন শাহজাদ।
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে নাজিবুল্লাহ জাদরানের ৪১ রানের জুটিও ভেঙেছিলেন সানি। তবে এরপর থেকে রাজশাহীকে চেপে ধরেছেন মুশফিক-মোসাদ্দেক। দুজন মিলে ৫৩ বলে যোগ করেছেন ৮৮ রান।
মুশফিক ছিলেন দারুণ কৌশলি, রিভার্স সুইপ করেছেন, স্কুপে মেরেছেন চার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৬ বলে ৬৪ রানে, মোসাদ্দেক করেছেন ২৬ বলে ৪৩। দুজন মিলে রানতাড়াকে বানিয়ে ফেলেছিলেন বেশ সহজ। শেষে গিয়ে শেষ একটা সুযোগ দিয়েছিলেন মুশফিক, মোস্তাফিজের বলে সীমানায় জঙ্কার মিস করে সেটাকে বানিয়েছেন ছয়। শেষ ওভারে চার রান প্রয়োজন ছিল, চতুর্থ বলে মোস্তাফিজকে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেছেন মোসাদ্দেক।
এর আগে রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারেই হারিয়ে বসেছিল দুই উইকেট- সৌম্য সরকার ফ্রাইলিঙ্ককে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে হয়েছেন বটম-এজড, খালেদের বাউন্সারে জোর করে পুল করতে গিয়ে খাড়া ক্যাচ তুলেছেন মার্শাল আইয়ুব। ৫ম ওভারে এসেছে প্রথম বাউন্ডারি, তাও আবার ওভারথ্রোতে। আগের ম্যাচের মতো এবারও রাজশাহীকে উদ্ধারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন লরি এভান্স ও রায়ান টেন ডেসকাটে। তাদের ৬৪ রানের জুটিতে ডেসকাটে পালন করেছেন আক্রমণের দায়িত্ব, এভান্স শট খেলেছেন থেমে থেমে।
নিজের ১৩তম বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে এভান্স কাভার ড্রাইভে চার মেরে শেকলটা ছুটিয়েছেন। ৮ম ওভারে প্রথম ছয় পেয়েছে রাজশাহী, মেহেদিকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে এভান্স মেরেছেন লং অন দিয়ে। এরপরও প্রথম ৩০ বলে এভান্স করেছিলেন ২৮ রান। ১১তম ওভারে একটা জীবন পেয়েছিলেন ডেসকাটে, আবু জায়েদের বলে। তবে তার বলেই আর ২ রান যোগ করে লো ফুলটসে কাভারে দিয়েছেন ক্যাচ। খানিক পরে ফিরেছেন জাকিরও, সানজামুলের বলে লং-অনে ইয়াসির পেছন দিক ছুটে লাফিয়ে উঠে নিয়েছেন দারুণ ক্যাচ।
এভান্স এরপর গিয়ার বদলেছেন, খালেদকে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন ৪৫ বলে। আবু জায়েদের ওভারে মেরেছেন তিন চার, ১৮তম ওভারে খালেদকে পুল করতে গিয়ে আউট হয়েছেন ৫৬ বলে ৭৪ রান করে। ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কারও শুরুতে চুপচাপই ছিলেন, এরপর তুলেছেন ঝড়। তার ২০ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে রাজশাহী পেরিয়ে গেছে ১৫০-এর সীমা। শেষ ৪ ওভারে তারা তুলেছে ৬৪ রান। তবে শেষে গিয়ে মুশফিক-মোসাদ্দেক তাদেরকে পুড়িয়েছেন আরও কিছু রানের আক্ষেপে