বিদেশ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের কার্যক্রমে অচলাবস্থা বা আংশিক শাট-ডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে শেষ পর্যন্ত আপস করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির সাথে আপসের কথা বলেছেন।
হোয়াইট হাউজ থেকে ট্রাম্প বলেছেন, প্রায় ১০ লাখ অভিবাসীকে বহিষ্কারের হুমকি তিনি প্রত্যাহার করে নেবেন। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যে তরুণরা রয়েছে, তারাও এর আওতায় পড়বে।
তিনি আরো বলেছেন, মানবিক সাহায্যের জন্য আট শ’ মিলিয়ন ডলার দেয়া হবে। একইসাথে সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য একই পরিমাণ অর্থ দেয়া হবে। এই অর্থ সীমান্তে অতিরিক্ত ২৭৫০ জন নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে সহায়তা করবে।
কিন্তু ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। তিনি সেজন্য ৫৭০ মিলিয়ন ডলার যে চেয়েছিলেন, সমঝোতার প্রস্তাবেও তাঁর সেই দাবি বহাল রয়েছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবকে অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করেছে ডেমোক্র্যাটরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় অর্থাৎ চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই আংশিক শাট-ডাউন চলছে। এরফলে প্রায় ৮ লাখ ফেডারেল কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট নিজেই তাঁর ভাষণের আগে প্রচার করেছেন যে, তিনি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেবেন।
তিনি শুরু করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ অভিবাসীদের স্বাগত জানানোর গর্বিত ইতিহাস আছে। কিন্তু অভিবাসন পদ্ধতি খুব খারাপভাবে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে।
ট্রাম্প আরো বলেছেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি অভিবাসন নীতি বা পদ্ধতি ঠিক করার অঙ্গীকার করেছিলেন।
তিনি বলেছেন, “আমার সেই প্রতিশ্রুতি পালন করার ইচ্ছা রয়েছে।”
তাঁর বক্তব্য হচ্ছে, তিনি তাঁর প্রস্তাবের মাধ্যমে কংগ্রেসকে সরকারের কার্যক্রমের শাট-ডাউন থেকে বেরিয়ে আসার একটা উপায় করে দিলেন।
কিন্তু তিনি আবারও সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
যদিও তিনি বলেছেন, এই দেয়াল পুরো সীমান্ত জুড়ে নয়, এটি সীমান্তের অগ্রাধিকার এলাকায় করা হবে।তবে তিনি ঐ ৫৭০ মিলিয়ন ডলারের দাবির কথাই তুলে ধরেন।
ডেমোক্র্যাটরা কি বলেছে?
ট্রাম্পের বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই তারা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।
ডেমোক্রেটিক হাউজের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনক যে, ট্রাম্পের প্রস্তাব যে গুলো অতীতে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, এখন সেগুলোই সংকলন করে তিনি আবার প্রস্তাব দিয়েছেন।”
তিনি আরো বলেছেন, এই প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য। এটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না বলে তারা মনে করেন না।