আর্থিক খাতের উন্নয়ন প্রচার করতে মাঠে নেমেছেন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি)। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সংলাপে ব্যাংক খাতের ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাটের তথ্য দেওয়ার তিন দিন পরই মাঠে নামলেন তাঁরা। এই প্রচারে গত ১০ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরা হচ্ছে।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। এতে সরকারি-বেসরকারি খাতের ৩০টির বেশি ব্যাংকের এমডি উপস্থিত ছিলেন। উন্নয়ন প্রচার নিয়ে এভাবে এমডিদের সংবাদ সম্মেলনে আসার ঘটনা এর আগে ঘটেনি বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান। তবে আয়োজকদের বক্তব্য, সিপিডির সংলাপের প্রতিক্রিয়া জানাতে তাঁরা এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেননি—এটা কাকতাল হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে এবিবি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ১০ বছরের বিভিন্ন আর্থিক সূচকের উন্নতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এতে বড় অবদান রাখছে দেশের ব্যাংক খাত। আপনারা এর ভালো দিকগুলো তুলে ধরবেন। জনগণের কাছে ব্যাংক খাত নিয়ে শুধু খারাপ খবরই যায়।’
খাতভিত্তিক বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে কয়েকজন এমডি জানান, এখন দেশের জয়গাথা গাওয়ার সময় এসেছে। ব্যাংক খাতের যেসব খারাপ ঘটনা আছে, তা সংবেদনশীলভাবে দেখার সুযোগ আছে। ২০১৯ সাল দেশের অর্থনীতির জন্য বড় অর্জনের বছর হবে। এ সময়েই ব্যাংক খাত নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে এমডিদের মধ্যে বক্তব্য দেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আনিস এ খান, সিটি ব্যাংকের সোহেল আর কে হুসেইন, ইস্টার্ণ ব্যাংকের আলী রেজা ইফতেখার, আইএফআইসি ব্যাংকের শাহ আলম সারওয়ার, ব্যাংক এশিয়ার আরফান আলী, ইসলামী ব্যাংকের এমডি মাহবুব উল আলম, ডাচ–বাংলা ব্যাংকের আবুল কাশেম মো. শিরিন, সোনালী ব্যাংকের ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, অগ্রণী ব্যাংকের মোহাম্মদ শামস-উল-ইসলাম, কৃষি ব্যাংকের আলী হোসেন প্রধানিয়া, ফারমার্স ব্যাংকের এহসান খসরু, মেঘনা ব্যাংকের আদিল ইসলাম প্রমুখ।