খাদ্যতালিকা থেকে দুধ বাদ দিলে ওজন কমতে শুরু করে, এমনটাই জানেন অনেকে। কিন্তু ন্যাশনাল ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস-এর একটি সমীক্ষায় নানা গিয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য। গবেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় লো-ফ্যাট দুধ ও অন্যান্য দুগ্ধজাত সামগ্রী গ্রহণ করলে ওজন তো কমেই, শরীরও ভিতর থেকে সুস্থ হয়। ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের জোগান দেয় তা, বিনিময়ে বাড়তি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা ক্যালোরির বোঝাও ঘাড়ে চাপে না।
বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদরা বলেন যে, দিনে তিনবার লো ফ্যাট দুধে তৈরি কোনো না কোনো খাবার খাওয়া উচিত সবার। দুধের প্রোটিন পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে আপনার ঘন ঘন খিদে পাবে না, উল্টোপাল্টা কিছু খাবার ইচ্ছেও হবে না। ওজন কমবে ধীরে ধীরে।
ব্যায়াম করার পর কোনো সিন্থেটিক হেলথ ড্রিঙ্কের দ্বারস্থ না হয়ে দুধ খাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন, তাতে মাসল ডেভেলপ হওয়ার পাশাপাশি শক্তিও বাড়ে। সেই সঙ্গে শরীরে জমা ফ্যাট তাড়াতাড়ি কমতে আরম্ভ করে।
দুটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন-
১. দুধে চিনি মিশিয়ে খাওয়া কিন্তু চলবে না, তাতে ক্যালোরি ইনটেকের মাত্রা বাড়বে। এককাপ লো ফ্যাট দুধে থাকে প্রায় ৮৩ ক্যালোরি, ফুল ফ্যাট দুধের ক্ষেত্রে তার পরিমাণটা বেড়ে হয় ১৫০। আপনার দৈনিক ক্যালোরি ইনটেকের ধার্যমাত্রা কতটা সেই হিসেব করে তবেই ঠিক করুন কোন দুধ কতটা পরিমাণে খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন।
২. পানির কোনো বিকল্প নেই। পানি না খেয়ে দুধ বা অন্য কোনো পানীয় গ্রহণ করলেই কাজের কাজ হবে না, এটা সবসময় মনে রাখতে হবে আপনাকে।