জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় মামা ও তার সহযোগীদের হামলায় দুই ভাই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারী ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্টন হোসেন (৩২) নামে বড় ভাই মারা যান। এর আগে শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান ছোট ভাই স্থানীয় পশু ডাক্তার কাউছার হোসেন (২৩)।
নিহত দুই ভাই উপজেলার পূর্ব কোদালিয়া দক্ষিণপাড়ার আন্তাজ আলীর ছেলে। আটক শিরিন সুলতানা একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম বকুলের স্ত্রী ও খাসপুকুরিয়া ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য।
নিহতদের চাচা জয়নাল আবেদীন জানান, ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানার স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের ছেলে মিল্টন হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার বিকেলে কাউছারকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় বকুল ও তার স্বজনেরা।
সেখানে তাদের মধ্যে বিবাদমান জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মামা বকুল, মামিসহ স্বজনেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কাউছারকে বেধড়ক মারপিট করে। সংবাদ পেয়ে বড় ভাই মিল্টনসহ স্বজনরা সেখানে গেলে তাদেরও মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় কাউছার ও মিল্টন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধারের পর প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পরে ঢাকা নেয়ার পথে কাউছারের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিল্টনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে তিনিও মারা যান।
চৌহালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারী ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। অন্য আসামিদের আটকে অভিযান চলছে।