সারাদেশে যখন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হাওয়া বইছে, ঠিক তখন বড় ধরনের জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার একটি তৎপরতার কথা আগেভাগেই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পরিকল্পনা মাফিক এই হামলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে পাকিস্তান কেন্দ্রিক সংগঠন আইএসআই। বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট সকল মহল ও দফতরে এরই মধ্যে বিশেষ সতর্কতা বার্তা পাঠানো হয়েছে।
আইএসআই’র সঙ্গে দীর্ঘ যোগসাজশ রক্ষাকারী বিএনপি-জামায়াত গং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশেষ সুবিধা করতে না পারার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের হামলার পরিকল্পনা আসছে বলেই ধারণা করছেন গোয়েন্দারা।
‘মেরুকরণের রাজনীতি বলি বা স্খলন বলি, এটি নির্বাচনী তৎপরতার মুখ্য উপাদান। একদিকে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের মেরুকরণ, অন্য দিকে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি আদর্শের ভোট সংহত করার উদ্যোগ।’
এমন একটি খবর এসেছে কিছু মাধ্যমে। এর মধ্যে রাজনৈতিক টুইস্ট কতটুকু আছে, সেটা বিবেচনা না করে যদি আশংকার অংশটুকু নিয়ে ভাবা যায়, তাহলে একটু নড়েচড়েই বসতে হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় বিএনপি ও জোটের প্রধান শরিক দল জামায়াতের অনেক নেতা একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মত কোনো সক্ষমতা সরকার বিরোধী এই দলগুলোর নেই। আর সে কারণেই নাশকতা করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় তারা।
আমরা বুঝতে পারছি জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিসংগঠনগুলোর নানামুখী অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। এসব লক্ষ্যে দেশি জঙ্গিরা আবারও সংগঠিত হচ্ছে; আর তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে পালিয়ে বিদেশে অবস্থানকারী জঙ্গিরা। দেশি জঙ্গিদের কাছে বিদেশ থেকে অর্থের জোগান দেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
গত এক মাসে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা ও থানা এলাকা থেকে দেড় শতাধিক জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এমন সব তথ্য মিলেছে বলে দাবি তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কর্মকর্তারা উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন ও নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা করছে দেশ-বিদেশের স্বার্থবাদী গোষ্ঠী।
জঙ্গিবাদ বরাবরই দেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে আছে। বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই বড় ধরনের আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা। এর মধ্যে এই আশংকা বড় ভাবনার বিষয়। গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক রিপোর্টে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক ব্যবস্থা নেয়ার পরেও বাংলাদেশে এখনো জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়ে গেছে।
এবারের নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য দিক, জঙ্গিবাদের সাথে সংশ্লিষ্টতার সরাসরি অভিযোগ আছে এমন নেতা, এমন রাজনৈতিক দল, প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধীদের সাথে একই প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন নাগরিক সমাজের কিছু রাজনীতিক। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে এই রাজনৈতিক মেরুকরণের এক নতুন শংকা জেগেছে জনমনে।
যে জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসকে এদেশের মানুষ বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে সেই জঙ্গিদের সাথে জোটের নামে, সরকার বিরোধিতার নামে, নাগরিক সমাজের এই মাখামাখি এদের আজীবনের জন্য সামাজিক মর্যাদা দানের প্রক্রিয়া কিনা তা ভাবছে না হয়তো কেউ।
যারা গণতন্ত্রের কথা বলে মাঠ গরম করছেন, তাদের সেই অধিকার আছে। কিন্তু এটাও আশা করি তারা মানবেন, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকরা চায় দেশে অশান্তি সৃষ্টি হোক। তারা প্রচলিত আইনে বিশ্বাসী না। তারা চায় উগ্র মতবাদী শাসনব্যবস্থা।
তথ্য বলছে, বর্তমানে জেএমবিসহ আরো কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের মাঠপর্যায়ের অপতৎপরতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। উগ্র মৌলবাদে বিশ্বাসী কিছু ইসলামী দল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জঙ্গিদের মাঠপর্যায়ে সহযোগিতা করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের গোপন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যেকোনো ধরনের হামলা-নাশকতার বিষয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে সারা দেশে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে কয়েকমাস আগেই।
নির্বাচনের সময় বাজারে অর্থ প্রবাহ বাড়ে। কারণ সব প্রার্থীই বড় ধরনের খরচ করে জনসমর্থন পেতে। এই সুযোগে জঙ্গি অর্থায়ন হওয়া খুব স্বাভাবিক। গুলশানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তা শুধু কাগজেই লিপিবদ্ধ রয়েছে। বাস্তবে এখনো জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধ হয়নি।
জঙ্গি সংগঠনগুলোকে বরাবরই বিদেশ থেকে অর্থায়ন করা হয়। নির্বাচনের সময়টায় সতর্ক থাকা প্রয়োজন। যেকোনো সন্দেহজনক লেনদেন হলেই তা নিয়ে ব্যাংকারদের উচিত হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো।
দেশে যখন নির্বাচন আসে, তখনই জঙ্গি তৎপরতা মাথাচাড়া দেয়। বিভিন্ন দেশ থেকেও জঙ্গিদের সংগঠিত করতে অর্থায়ন করা হয়। বিদেশি অপশক্তি এটাকে রাজনৈতিক খেলার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে। এর আগেও নির্বাচনকেন্দ্রিক এসব অপতৎপরতা আমরা দেখেছি। তাই জঙ্গিবাদী তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে আগে অর্থায়ন বন্ধ করা জরুরি। এতে তাদের সাংগঠনিক শক্তিও কমে যাবে। ফলে মানুষ থেকে রাষ্ট্র- সবই তাদের হাত থেকে রেহাই পাবে।
মেরুকরণের রাজনীতি বলি বা স্খলন বলি, এটি নির্বাচনী তৎপরতার মুখ্য উপাদান। একদিকে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের মেরুকরণ, অন্য দিকে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি আদর্শের ভোট সংহত করার উদ্যোগ। ভোটের স্বার্থে অসাম্প্রদায়িক নেতারা জামায়াত-বিএনপির সাথে যে ফ্রন্ট গঠন করেছেন তা সুফল না কুফল আনবে তা সময়ই বলবে।
শুধু একটি কথা বলার আছে আর তাহল এই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রভুদের পরিষ্কার লক্ষ্য: একটা মতাদর্শ ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, যেখানে জনসংখ্যার অংশবিশেষের বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচন নির্বাচন খেলায় মত্ত থেকে সেদিকে আমরা সকলে চোখ বুজে আছি কী?
মেরুকরণের রাজনীতি
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা , প্রধান সম্পাদক, জিটিভি
সারাদেশে যখন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হাওয়া বইছে, ঠিক তখন বড় ধরনের জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার একটি তৎপরতার কথা আগেভাগেই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পরিকল্পনা মাফিক এই হামলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে পাকিস্তান কেন্দ্রিক সংগঠন আইএসআই। বিষয়টি জানার পর সংশ্লিষ্ট সকল মহল ও দফতরে এরই মধ্যে বিশেষ সতর্কতা বার্তা পাঠানো হয়েছে।
আইএসআই’র সঙ্গে দীর্ঘ যোগসাজশ রক্ষাকারী বিএনপি-জামায়াত গং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশেষ সুবিধা করতে না পারার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের হামলার পরিকল্পনা আসছে বলেই ধারণা করছেন গোয়েন্দারা।
‘মেরুকরণের রাজনীতি বলি বা স্খলন বলি, এটি নির্বাচনী তৎপরতার মুখ্য উপাদান। একদিকে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের মেরুকরণ, অন্য দিকে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি আদর্শের ভোট সংহত করার উদ্যোগ।’
এমন একটি খবর এসেছে কিছু মাধ্যমে। এর মধ্যে রাজনৈতিক টুইস্ট কতটুকু আছে, সেটা বিবেচনা না করে যদি আশংকার অংশটুকু নিয়ে ভাবা যায়, তাহলে একটু নড়েচড়েই বসতে হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় বিএনপি ও জোটের প্রধান শরিক দল জামায়াতের অনেক নেতা একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মত কোনো সক্ষমতা সরকার বিরোধী এই দলগুলোর নেই। আর সে কারণেই নাশকতা করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় তারা।
আমরা বুঝতে পারছি জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিসংগঠনগুলোর নানামুখী অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। এসব লক্ষ্যে দেশি জঙ্গিরা আবারও সংগঠিত হচ্ছে; আর তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে পালিয়ে বিদেশে অবস্থানকারী জঙ্গিরা। দেশি জঙ্গিদের কাছে বিদেশ থেকে অর্থের জোগান দেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
গত এক মাসে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা ও থানা এলাকা থেকে দেড় শতাধিক জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এমন সব তথ্য মিলেছে বলে দাবি তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কর্মকর্তারা উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন ও নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা করছে দেশ-বিদেশের স্বার্থবাদী গোষ্ঠী।
জঙ্গিবাদ বরাবরই দেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে আছে। বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই বড় ধরনের আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা। এর মধ্যে এই আশংকা বড় ভাবনার বিষয়। গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক রিপোর্টে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক ব্যবস্থা নেয়ার পরেও বাংলাদেশে এখনো জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়ে গেছে।
এবারের নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য দিক, জঙ্গিবাদের সাথে সংশ্লিষ্টতার সরাসরি অভিযোগ আছে এমন নেতা, এমন রাজনৈতিক দল, প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধীদের সাথে একই প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন নাগরিক সমাজের কিছু রাজনীতিক। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে এই রাজনৈতিক মেরুকরণের এক নতুন শংকা জেগেছে জনমনে।
যে জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসকে এদেশের মানুষ বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে সেই জঙ্গিদের সাথে জোটের নামে, সরকার বিরোধিতার নামে, নাগরিক সমাজের এই মাখামাখি এদের আজীবনের জন্য সামাজিক মর্যাদা দানের প্রক্রিয়া কিনা তা ভাবছে না হয়তো কেউ।
যারা গণতন্ত্রের কথা বলে মাঠ গরম করছেন, তাদের সেই অধিকার আছে। কিন্তু এটাও আশা করি তারা মানবেন, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকরা চায় দেশে অশান্তি সৃষ্টি হোক। তারা প্রচলিত আইনে বিশ্বাসী না। তারা চায় উগ্র মতবাদী শাসনব্যবস্থা।
তথ্য বলছে, বর্তমানে জেএমবিসহ আরো কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের মাঠপর্যায়ের অপতৎপরতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। উগ্র মৌলবাদে বিশ্বাসী কিছু ইসলামী দল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জঙ্গিদের মাঠপর্যায়ে সহযোগিতা করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের গোপন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যেকোনো ধরনের হামলা-নাশকতার বিষয়ে আগাম প্রস্তুতি নিতে সারা দেশে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে কয়েকমাস আগেই।
নির্বাচনের সময় বাজারে অর্থ প্রবাহ বাড়ে। কারণ সব প্রার্থীই বড় ধরনের খরচ করে জনসমর্থন পেতে। এই সুযোগে জঙ্গি অর্থায়ন হওয়া খুব স্বাভাবিক। গুলশানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তা শুধু কাগজেই লিপিবদ্ধ রয়েছে। বাস্তবে এখনো জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধ হয়নি।
জঙ্গি সংগঠনগুলোকে বরাবরই বিদেশ থেকে অর্থায়ন করা হয়। নির্বাচনের সময়টায় সতর্ক থাকা প্রয়োজন। যেকোনো সন্দেহজনক লেনদেন হলেই তা নিয়ে ব্যাংকারদের উচিত হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো।
দেশে যখন নির্বাচন আসে, তখনই জঙ্গি তৎপরতা মাথাচাড়া দেয়। বিভিন্ন দেশ থেকেও জঙ্গিদের সংগঠিত করতে অর্থায়ন করা হয়। বিদেশি অপশক্তি এটাকে রাজনৈতিক খেলার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে। এর আগেও নির্বাচনকেন্দ্রিক এসব অপতৎপরতা আমরা দেখেছি। তাই জঙ্গিবাদী তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে আগে অর্থায়ন বন্ধ করা জরুরি। এতে তাদের সাংগঠনিক শক্তিও কমে যাবে। ফলে মানুষ থেকে রাষ্ট্র- সবই তাদের হাত থেকে রেহাই পাবে।
মেরুকরণের রাজনীতি বলি বা স্খলন বলি, এটি নির্বাচনী তৎপরতার মুখ্য উপাদান। একদিকে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের মেরুকরণ, অন্য দিকে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি আদর্শের ভোট সংহত করার উদ্যোগ। ভোটের স্বার্থে অসাম্প্রদায়িক নেতারা জামায়াত-বিএনপির সাথে যে ফ্রন্ট গঠন করেছেন তা সুফল না কুফল আনবে তা সময়ই বলবে।
শুধু একটি কথা বলার আছে আর তাহল এই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রভুদের পরিষ্কার লক্ষ্য: একটা মতাদর্শ ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, যেখানে জনসংখ্যার অংশবিশেষের বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচন নির্বাচন খেলায় মত্ত থেকে সেদিকে আমরা সকলে চোখ বুজে আছি কী?