মাত্র ৫ বছরের মারিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহে সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াতের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে লন্ডনের লোটন শহরের অধিবাসী ছোট্ট মারিয়া আসলাম মাত্র ৭ বছর বয়সে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করে সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। বোনের ধারাবাহিকতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে ছোট ভাই ইউসুফ আসলাম।
বোন মারিয়ার পর ২ বছরের ব্যবধানে ৭ বছর বয়সী ভাই ইউসুফ আসলামও বোনের মতো পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্তের মাধ্যমে উজ্জ্বল কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে।
ইউসুফ আসলাম ২ বছরেরও কম সময়ে পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্ত করতে সক্ষম হন। যদিও মারিয়া আসলাম দৈনিক ৫ ঘণ্টা কুরআনুল কারিম অধ্যয়ন করে ২ বছরে কুরআন মুখস্ত করেছিলেন।
মারিয়া আসলাম ও ইউসুফ আসলামের কুরআন হিফজের বিষয়টি তাদের বাবা-মায়ের কাছে একটি স্বপ্নের মতো।
ইউসুফ আসলামের মায়ের ভাষায়, ‘কখনো ভাবিনি এমন অর্জনের মালিক হতে পারবো। আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। দুই সন্তানকে শিক্ষা জীবনের শুরুতে কুরআনুল কারিমের হাফেজ বানানোর কোনো পরিকল্পনাও ছিল না।’
তিনি আরো বলেন, মারিয়া আসলামের মুখস্ত করার ক্ষমতা প্রথমে বুঝা না গেলেও অল্প সময়ের ব্যবধানে তা অনুধাবন করি। অতঃপর ইউসুফকে নিয়ে কুরআন পড়ানোর চেষ্টা করি। মারিয়ার চেয়ে ইউসুফ দ্রুত কুরআন মুখস্তে এগিয়ে যায়।
মারিয়া এবং ইউসুফ কুরআনুল কারিম মুখস্ত অংশ নিয়ে খেলায় মেতে ওঠে। মারিয়া হয়ে ওঠে ইউসুফের শিক্ষক। মারিয়া ভাই ইউসুফকে পবিত্র কুরআন শেখাতে থাকে।
হাফেজা মারিয়া আসলামের একান্ত উৎসাহে ২ বছরেরও কম সময়ে পরিপূর্ণ হাফেজ হয়ে ওঠেন ৭ বছরের ইউসুফ আসলাম। হাফেজ ইউসুফ আসলাম খুবই ভাগ্যবান যে হাফেজ মারিয়া আসলামকে বোন হিসেবে পেয়েছে।
ইউসুফ আসলাম কুরআন মুখস্ত করায় বাবা-মা উপহার হিসেবে মারিয়া ও ইউসুফকে নিয়ে ওমরা যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি (ডিসেম্বর) মাসের শেষ দিকে পবিত্র ওমরা পালন করবে।
মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তাআলা এমন সুন্দর সুন্দর পরিবার দান করুন। দুনিয়ার সব পরিবারকে কুরআন প্রেমিক হিসেবে কবুল করুন। হাফেজ মারিয়া ও ইউসুফকে কুরআনের সেবক হিসেবে কবুল করুন। আমিন।