‘এইচআইভি’ পজিটিভ হওয়ার অপরাধে ভারতের পুনের এক নারী কর্মীর চাকরি ছিনিয়ে নিয়েছিল এক বেসরকারি সংস্থা। আদালতের নির্দেশে প্রায় তিন বছর পর ফের চাকরি ফিরে পেলেন এই নারী।
গত সোমবার ওই কোম্পানিকে আদালত নির্দেশ দেয়, নারী কর্মীকে তার চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে এবং সকল বাকি টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। ২০১৫ সালে ওই নারী কর্মী মেডিক্লেম করেছিলেন কোম্পানির কাছে। মেডিকেল সহায়তা পাওয়ার জন্যও জানিয়েছিলেন। সেই সময় সেদিনই তার চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি ওই মহিলা কর্মীর।
তার দাবি, ‘আমাকে মেডিক্লেমের জন্য কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই সময় আমাকে এইচআইভি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। আমি জানাই আমার স্বামী কাগজ নিয়ে আসছেন। সেই সময় জোর করে আমাকে রিজাইন করানো হয়। আমি ওই কোম্পানিতে প্রায় ৫ বছর ধরে ট্রেনি অপারেটর হিসেবে কাজ করেছি।’
সেই নারীর দাবি, মৌখিক ভাবে তাকে এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার কারণ দর্শানো হলেও, নথিতে লেখা হয় তার অনুপস্থিতির জন্য তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর পুনের এক আদালতে সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী কর্মী। আদালতের নির্দেশে জানানো হয়, কোন কর্মীকে ‘এইচআইভি’ পজিটিভ হওয়ার কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে না। উল্লেখ্য, সেই নারীর স্বামীও এইচআইভি পজিটিভ ছিলেন এবং প্রয়াত হয়েছেন।