ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৬ ফিলিস্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জনকে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে গাজার একটি সামরিক আদালত। এর আগে ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর একটি দল একটি বেসামরিক গাড়িতে করে গাজা উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করে চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালায়। এতে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের ঊর্ধ্বতন কমান্ডার শেখ নূর বারাকাসহ আরও ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ঘটনার ঠিক তিন সপ্তাহ পরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এ রায় দিল।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইয়াদ আল-বাজমের উদ্ধৃতি দিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আটজনের মধ্যে একজন নারীসহ চারজনের ৬ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকি চারজনের প্রত্যেককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আল-বাজম বলেছেন, যারাই ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টা করতে চাইবে, এ রায় তাদের জন্য সুস্পষ্ট একটি বার্তা হিসেবে কাজ করবে।
১১ নভেম্বর ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর একটি দল একটি বেসামরিক গাড়িতে করে গাজা উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করে চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালায়। এতে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের ঊর্ধ্বতন কমান্ডার শেখ নূর বারাকা নিহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গ্রুপ হামাস ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েলের সঙ্গে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।
বিমান হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনী কামান দিয়েও হামলা চালায়। বিমান হামলায় গুড়িয়ে দেয় হামাসের টিভি স্টেশন। এর পাল্টা হিসেবে হামাসও ইসরায়েলে কয়েকশো মিসাইল নিক্ষেপ করে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত হন। ১৩ নভেম্বর উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।