২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:৪৭

মনোনয়ন ফিরে পেতে ৮২ জনের আপিল

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনিসহ ৮২ প্রার্থী।

সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর (রোববার) তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।

চট্টগ্রাম-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিমানমন্ত্রী মীর নাছির উদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সরকারের চাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। আপিলে প্রার্থিতা দেবে বলে আশা করি।

পটুয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী গোলাম মওলা রনি বলেন, সামান্য ভুলের কারণে বাতিল হয়েছে। এটা বাতিলের মতো ভুল ছিল না, যেখানে ইসি থেকে ছোট ভুলের জন্য বাতিল না করার নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে আশাবাদী। কমিশনের প্রতি আস্থা আছে। আশা করি আমি নির্বাচন করার সুযোগ পাবো।

বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী হিরো আলম বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশনে ন্যায়বিচার পাবো। অনথ্যায় আমি আদালতে যাবো। মন্ত্রী-এমপিরা চায় না। রাজারা চায় না প্রজারা রাজা হোক। জিরো থেকে হিরো হয়েছি। ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।

অন্য আপিলকারীদের মধ্যে রয়েছেন: ঢাকা-১ আসনের খন্দকার আবু আশফাক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ থেকে নবাব মোহাম্মদ শামছুল হুদা, বগুড়া-৭ থেকে খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ি থেকে আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-১ থেকে আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ থেকে তমিজউদ্দিন, সাতক্ষীরা-২ থেকে মোহাম্মদ আফসার আলী, কিশোরগঞ্জ-২ থেকে মো. আখতারুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ থেকে মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ থেকে মো. আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ থেকে মোকারম হোসেন, ঝিনাইদাহ-২ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ থেকে খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ থেকে ফরিদুল কবির তালুকদার, পটুয়াখালী-৩ থেকে মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ থেকে মো. সুমন সন্যামাত, দিনাজপুর-১ থেকে পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ থেকে জহিরুল ইসলাম মিন্ট, সিলেট-৩ থেকে কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে এসএম খলিলুর রহমান ও জয়পুরহাট-১ থেকে মো. ফজলুর রহমান প্রমুখ।

আপিলকারীদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি অন্যের মনোনয়নপত্র বাতিল করার জন্য স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বলে সোমবার বিকেলে জানিয়েছেন ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা।

এদিকে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার কমিশনে এলেও আপিল করেননি।

৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল আবেদন জমা দেওয়া যাবে। ৬-৮ ডিসেম্বর শুনানি করে আবেদন নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ।

প্রকাশ :ডিসেম্বর ৩, ২০১৮ ৮:৩৪ অপরাহ্ণ