শীতের সবজিতে সয়লাব বাজার। শুক্রবার রাজধানীর একাধিক বাজারে লাল টমেটো বাদে সব ধরনের সবজি বিক্রি হয়েছে ২০-৩৫ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে বেশি সবজি আসছে। তাই দাম ক্রেতার হাতের নাগালে এসেছে।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ ও গরুর মাংসের দাম বাড়েনি। বরং প্রতি হালি (৪পিস) ডিম (ফার্ম) দুই থেকে তিন টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ২৮-৩২ টাকা। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। আর চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল কাঁচাবাজার ও নয়াবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর বাজার ঘুরে ও সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার বাজারে মূলা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকা এবং শিম ২০-৩০ টাকা। তবে হাতিরপুল কাঁচাবাজারে শিম ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাঁধাকপি আকার ভেদে প্রতি পিস ১০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হয়েছে, ফুলকপি ১০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ কেজি ও পাকা টমেটো ৪০-৪৫ টাকা।
তবে নয়াবাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারে পাকা টমেটো ৫০-৬০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে বরবটি ২০-২৫ টাকা কেজি, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে। শসা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
ঢেঁড়স ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, বেগুন ৩৫-৪০ টাকা কেজি, কচুর লতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, কাকরোল কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি। বাজারভেদে এক আটি পালং শাক বিক্রি হয় ১০-২০ টাকা। লাল ও সবুজ শাক বিক্রি হয় ৫-১০ টাকা আটি। লাউ শাক বিক্রি হয় প্রতি আটি ২০-৩০ টাকা। পুঁই শাক ১০-২০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা সবুর আলী বলেন, সবজির দাম অনেক কমে গেছে। কারণ বাজারে চাহিদার চেয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজির সরবরাহ বেশি। শীত যতো পরতে থাকবে সবজির দাম আরও কমবে। তবে পাইকারি বাজারের দাম বাড়লে খুচরা বাজারে বাড়ে। পাইকারি বিক্রেতারা কারসাজি করে দাম না বাড়ালে সামনে আর দাম বাড়বে না।
একই বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা আমিরুল ইসলাম বলেন, বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় শীতের সবজির দাম অনেক কমেছে। যে কারণে ব্যাগ ভরে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বাজারে লাল টমেটোর দাম এখনও কমছে না।
শুক্রবার মাছের বাজার স্থিতিশীল ছিল। বাজারে এক কেজি বা তার চেয়ে একটু কম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা। ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩০০-৩৫০ টাকা। প্রতি কেজি পাঙ্গাস ১২০-১৩০ টাকা বিক্রি হয়। কৈ মাছ প্রতি কেজি ১৬০-২০০ টাকা বিক্রি হয়। তেলাপিয়া ১২০-১৬০ টাকা কেজি, রুই ২৮০-৩০০ টাকা কেজি, ট্যাংরা ৩৫০-৪৫০ টাকা কেজি এবং শিং ৩০০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০০-৯০০ টাকা।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুগরি ১২০-১৩০ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার বিক্রি হয় ১২৫-১৩৫ টাকা। পাকিস্তানি কক ২৩০-২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৮০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা বিক্রি হয়।