অনলাইনে পরিচয়ের পর এবারই প্রথম দেখা? চ্যাটিংয়ে কিংবা ফোনকলে কথা হয় আর তাতেই দুজনের প্রতি দুজনের ভালোলাগার কথাটি বুঝতে পেরেছেন। এবার মুখোমুখি দেখা করে সিদ্ধান্ত নিতে চান সম্পর্কটি আদৌ তৈরি হবে কি না। যেহেতু এটাই প্রথম দেখা, তাছাড়া ভার্চুয়াল জগৎ ছাড়া আর কোনোভাবে আপনার পরিচিত নয় তাই খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়ে-
প্রথমবার দেখা করার জন্য এমন একটি জায়গা পছন্দ করুন, যা আপনার চেনা এলাকার মধ্যে পড়ে ও জনবহুল। খুব ফাঁকা এলাকা, হোটেলের ঘর, বা অচেনা জায়গায় দেখা করার যাবেন না। বিপদ তো আর বলে-কয়ে আসে না, তাই না?
প্রথম থেকেই সৎ থাকুন। নিজের সম্পর্কে এমন কিছু বলবেন না যা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আপনি যেমন ঠিক সেভাবেই নিজেকে তুলে ধরুন সঙ্গীর সামনে। এতে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক এগোলে জটিলতা আসবে না।
প্রথম থেকেই আলাপে জড়তা কাটিয়ে এমনভাবে কথা বলুন যেখানে কেবল নিজেদের কথাই নয়, সমাজ, রাজনীতি, চার পাশের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও উঠে আসবে আলাপে। এতে মানুষটি সম্পর্কে ধারণা আরও স্বচ্ছ হবে।
প্রথমেই মনে রাখতে হবে, দীর্ঘ দিনের আলাপ বা বন্ধুত্ব থেকে হওয়া প্রেমের যে ধরন, তার চেয়ে এই ধরনের আলাপ প্রকৃতিগতভাবেই বেশ আলাদা। তাই যদি সত্যিই এই সাক্ষাৎ থেকে কোনো সম্পর্ক তৈরির কথা ভাবেন, তাহলে খুব ছোট ছোট কেজো আলাপের বদলে এমন কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলুন, যাতে সেই মানুষটির জীবনের বিশ্বাস, আদর্শ, শখ এসব সম্পর্কে জানতে পারেন।
বাড়ি, পরিবার নিয়ে খুব গভীর কথা আলোচনা না করলেও মূলত দরকারি বিষয়গুলো জানুন। বাড়িতে কে কে আছেন, কেমন ভাবে বেড়ে ওঠা, বাড়ির মানুষদের প্রতি তাঁর মনোভাব এগুলো জানুন।
প্রথমদিনই কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা তর্ক এড়িয়ে যান। যদি কথা বলতে বলতে বোঝেন, মানুষটি আদৌ আপনার মনের মতো নয়, তাতেও অভদ্রতা না করে বুদ্ধি খাটিয়ে আলাপ থামিয়ে উঠে আসুন। তবে আপনার অপছন্দের প্রকাশ ব্যবহারে না হওয়াই উচিত।
মানুষটি যদি মনের মতো হয়, কিন্তু কিছু অমিল থাকে, সেগুলো থাকতে দিন। দুজন মানুষের সবকিছু মিলতেই হবে এমন ধারণা বাদ দিন। জীবনে চলার পথে অনেক পছন্দ-অপছন্দই বদলায়। কিন্তু জীবনের মূল আদর্শগত দিকগুলির ভাবনায় আলাদা হলে সতর্ক হন। আরও একবার ভাবুন।