পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন ফরাসি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা।
শনিবার প্যারিসের চ্যাম্পস-এলিসিতে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।
বিখ্যাত বিপণিবিতানের দিকে তারা এগোতে থাকলে পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছোড়েন। ইয়েলো জ্যাকেট নামে পরিচিতি পাওয়া এ প্রতিবাদে ডিজেলের ওপর বাড়তে থাকা করের বিরোধিতা করে মাঠে নামেন বিক্ষোভকারীরা।
তাদের পরনে চোখে লাগার মতো হলুদ জ্যাকেট পরা ছিল। শনিবারের বিক্ষোভকে দ্বিতীয় প্রতিবাদ হিসেবে ঘোষণা দেন সংগঠকরা।
এদিন প্যারিসের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে তিন হাজার পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছিল।
চ্যাম্পস এলিসি অ্যাভিনিউয়ের কাছে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা যেন এসব এলাকায় পৌঁছতে না পারে, তার জন্য রাস্তায় ধাতুর ব্যারিকেড বসিয়ে অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের পদত্যাগ দাবি করে শ্লোগান দেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত স্পর্শকাতর কোনো এলাকায় বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারেননি।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্তোফ ক্যাস্তেনার অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীরা ফ্রান্সের কট্টর-ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী নেতা ম্যারি ল পেনের প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছে। কিন্তু এক টুইটে উল্টো ক্যাস্তেনারকে অসৎ বলে অভিযুক্ত করেছেন ল পেন।
স্থানীয় সময় বেলা ১১টা পর্যন্ত ফ্রান্সজুড়ে ২৩ হাজার লোক প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ক্যাস্তেনার।
ইয়েলো জ্যাকেটের প্রথম দিনের প্রতিবাদে শামিল হওয়া লোকের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম। এক সপ্তাহ আগে প্রথম দিনের প্রতিবাদে ফ্রান্সজুড়ে প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার লোকা রাস্তায় নেমেছিলেন।
৩৭ বছর বয়সী লাইটিটিয়া দেওয়ালি নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, এখানে আমরা পুলিশকে পেটাতে আসিনি। আমরা চাই, সরকার আমাদের কথা শুনবে।
আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে এলে আমাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হচ্ছে বলে দাবি করেন এ প্রতিবাদীকারী।