নামাজের সালাম ফেরানোর পর প্রিয়নবি কিছু সময় দোয়া ও তাসবিহ পড়তেন। তাঁর উম্মতকেও এ সব দোয়া পড়তে উৎসাহ প্রদান করতেন।
যে সব নামাজের পর সুন্নত কিংবা নফল নামাজ রয়েছে সেসব নামাজে সংক্ষেপে দোয়া পড়তেন। আর যেসব নামাজে সুন্নত কিংবা নফল নামাজ নেই তাতে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় ধরে দোয়া ও তাসবিহ পড়তেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজের সালাম ফেরাতেন, তখন এ দোয়া পাঠ করা পরিমাণ সময়ের বেশি বসে থাকতেন না। (আর তাহলো)-
اَللهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ تَبَرَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু তাবারাকতা ইয়া জাল ঝালালি ওয়াল ইকরাম।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি নিজেই শান্তিময়। আর আপনার কাছ থেকেই শান্তি আসে। হে প্রতাপশালী ও সম্মানের অধিকারী! তুমি বরকতময়।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, নামাজ শেষে প্রিয়নবি বলতেন-
হজরত ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজ শেষ করতেন, তখন ৩বার ইসতেগফার করতেন-
اَسْتَغْفِرُ الله
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহ
অর্থ : হে আল্লাহ! ক্ষমা করুন। অতঃপর বলতেন-
اَللهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ تَبَرَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালামু তাবারাকতা ইয়া জাল ঝালালি ওয়াল ইকরাম।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি নিজেই শান্তিময়। আর আপনার কাছ থেকেই শান্তি আসে। হে প্রতাপশালী ও সম্মানের অধিকারী! তুমি বরকতময়।’ (মুসলিম)
হাদিসের শেখানো ভাষায় ও পদ্ধতিতে নামাজ শেষে সংক্ষেপে দোয়া ও তাসবিহ পড়া সুন্নাত ও বরকতময় ইবাদত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষ করে হাদিসে ঘোষিত দোয়ার আমল যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।