বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভোটারশূন্য নির্বাচন করে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তে অটল সিইসি।
জনগণ ইভিএম চায় না। এটিকে ভোট চুরির একটি যন্ত্র বলে তারা মনে করছে। তিনি বলেন, প্রশাসন ও পুলিশে কর্মরত বিতর্কিত ও দলবাজ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করেছে। বৃহস্পতিবার সিইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সভায় বলেছেন, কোনো কর্মকর্তাকে বদলি করা হবে না। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে বিতর্কিতদের সরানোর আহ্বানের বিপরীতে সিইসির এ ধরনের বক্তব্য দলবাজ কর্মকর্তাদের আরও বেপরোয়া করে তুলবে।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
রিজভী বলেন, বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি কেএম নুরুল হুদা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে উপস্থিত কিছু পুলিশ কর্মকর্তা বক্তব্য দিয়েছেন। সিইসির নির্দেশ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যে মনে হয়, উভয় পক্ষই সরকারের অনুকূলে একতরফা নির্বাচনেরই একটা গোপন ছক তৈরি করে রেখেছে।