চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে বড় লিড নেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। সকালেই গ্যাব্রিয়েলের বলে বোল্ড হয়েছেন মুশফিক।
‘চলেই যখন যাব, মরণকামড়টা দিয়ে যাই’—শ্যানন গ্যাব্রিয়েল এ ভাবনায় কিনা তৃতীয় দিনের সকালেই তোপ দাগতে শুরু করেছেন! চট্টগ্রামের স্পিন-সহায়ক উইকেটে ধারাবাহিকভাবে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করছেন। বাড়তি চেষ্টা করতে গিয়ে নিজের প্রথম তিন ওভারেই তিনটা ‘ওভারস্টেপিং নো’ হয়েছে।
গ্যাব্রিয়েলের গতি-মুভমেন্টের কাছে হার মেনে তো মুশফিকুর রহিম (১৯) বোল্ডই হয়ে গেলেন। মুশফিক-ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ১৮ রান করেই ফিরেছেন মিরাজ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ১০৭। ১৮৫ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক শেন ডাউরিচ বলেছেন, বাংলাদেশ যদি ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য দেয়, কাজটা তাঁদের কঠিনই হবে। আজ বাংলাদেশের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও বলেছেন, তাঁদের প্রথম লক্ষ্য লাঞ্চ পর্যন্ত খেলা। সেটি হলে ২০০ রানের বেশি লিড পাওয়া কঠিন হবে না।
৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন মুশফিক ও মিরাজ। আজ জোমেল ওয়ারিক্যানের প্রথম ওভারেই একটি চারসহ মোট ৭ রান তোলেন মুশফিক। সেই ওভারের শেষ বলে অযথাই রিভার্স সুইপ খেলে কিছুটা অস্থিরতার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন মুশফিক। ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাফেট তা টের পেয়েই বোধ হয় পরের ওভারে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথমবারের মতো বল করতে এসেই ‘আনপ্লেয়েবল’ এক ডেলিভারিতে মুশফিককে তুলে নেন গ্যাব্রিয়েল।
অফ স্ট্যাম্পে বেশ বাইরে করা গ্যাব্রিয়েলের গতিময় ডেলিভারিটি তীক্ষ্ণ মুভমেন্টে ঢুকে পড়েছে স্টাম্পে। ব্যাট নামিয়ে মুশফিক (১৯) শেষ রক্ষার চেষ্টা করেও পারেননি। বোল্ড হয়ে ফিরেছেন। এরপর সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ। মিরাজকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেছেন ক্যারিবীয় লেগি দেবেন্দ্র বিশু। ২০ রানে ব্যাট করা মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দিচ্ছেন নাঈম হাসান।